ঘর জলে টইটম্বুর। খাটে শিশুসন্তানকে নিয়ে বসে মা। নীচে সাপ! শুক্রবার রাতে এমনই অভিজ্ঞতার সামনে পড়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ব্লকের রাজনগর গ্রামের মাম্পি দাস। তাঁর কথায়, ‘‘ঘরে সাপ ঘোরাঘুরি করছে। নামার জো নেই। ওই ভাবেই আতঙ্কে কাটিয়েছি সারা রাত।’’
মাম্পির মতো অভিজ্ঞতা সকলের না হলেও অতিবৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে রাজ্যবাসীর বড় অংশ। শনিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তাঁর নির্দেশে রাজ্যের মুখ্যসচিব ন’জন জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন। কারণ, ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট থেকে যে জল ছাড়া হচ্ছে, তাতে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রায় ৩২ হাজার শিবির খোলা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। জেলাশাসকদের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে। ত্রাণের ঘাটতি যাতে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “ঝাড়খণ্ডেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। ফলে তেনুঘাটের জল ছাড়ায় হাওড়া, হুগলির অনেকটা এলাকা নিয়েচিন্তা রয়েছে। চারটি এনডিআরএফ এবং পাঁচটি এসডিআরএফ দল বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে। তেনুঘাটের জল আসতে ৩৬ ঘণ্টা লাগে। এখন প্রায় সব নদীর জলস্তর বিপজ্জনক জায়গায় আছে। ফলে বাড়তি সতর্ক থাকতে হচ্ছে। ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করছে রাজ্য।”