পঞ্চায়েতে ভোটের নিরাপত্তা বন্দোবস্ত এবং দিনক্ষণ নিয়ে এখনও জট অব্যাহত। লড়াই চলছে আদালতে। আর তার মধ্যেই ঘটে চলেছে হিংসা ও রক্তপাতের ঘটনা। গত ৪৮ ঘণ্টায় নানা জেলা থেকে অভিযোগ এসেছে বিরোধী প্রার্থী ও কর্মীদের উপরে আক্রমণের। আবার কোথাও কোথাও শাসককে পাল্টা মার দিচ্ছে বিরোধীরাও।
গ্রাম পঞ্চায়েতে মনোনয়ন ও প্রত্যাহার নিয়ে নানা ঘটনা ঘটেছে। হুগলিতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি না হওয়ায় সিপিএমের জেলা পরিষদ প্রার্থীও আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ধনেখালি জেলা পরিষদের ৩০ নম্বর আসনের সিপিএম প্রার্থী, গুড়াপের কানাজুলির বাসিন্দা কালীপদ ভূমিজকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য শাসক দল চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। তিনি স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে মনসাতলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই আত্মীয়ের বাড়িতেই হানা দিয়ে এক দল দুষ্কৃতী কালীপদবাবুকে ঘর থেকে ডেকে বাইরে এনে লোহার রড, হাঁসুয়া দিয়ে হামলা চালায়। কালীপদবাবুর বয়ান অনুযায়ী বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। দলের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘মনোনয়ন-পর্ব শুরু হওয়া থেকেই বিরোধীদের উপরে লাগাতার হামলা চলছে। গুড়াপের ঘটনাটি তারই প্রতিফলন। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনেও যাব।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বামেদের জেলা পরিষদ প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছেন মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায়। সিপিএম বিধায়ক মহসিন আলি ও জেলা পরিষদ প্রার্থী ইলা পাণ্ডের বাড়িতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে বামেদের অভিযোগ। আবার বাঁকুড়ার হিজলিতে তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থী মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু দলের কর্মীদের নিয়ে বুথ-বৈঠক করার সময়ে বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনী তির-ধনুক, বোমা, বন্দুক নিয়ে চড়াও হয় বলে শাসক দলের অভিযোগ। যদিও প্রার্থী এলাকার লোকজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র অবশ্য পাল্টা দাবি করেছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের জেরেই এই হামলা। পুরুলিয়ার বরাবাজারে পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল ও বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy