প্রস্তাবটি আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুটান সফরে গিয়ে। এ বার বর্ষায় উত্তরবঙ্গ দেখল, ভুটানের নদীগুলি সামলাতে দু’দেশের মধ্যে যৌথ নদী কমিশন গঠন কতটা জরুরি। ভুটান পাহাড় থেকে একাধিক নদী নেমে এসেছে আলিপুরদুয়ার কোচবিহার, জলপাইগুড়ি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের দাবি, ভুটানে জলাধার না থাকাতেই কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার পঞ্চাশেক। এ বার তাই কেন্দ্রের কাছে যৌথ নদী কমিশন গঠনের জোরদার দাবি জানাবে রাজ্য।
বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘ভুটানের নদীগুলি উপচে পড়াতেই এখানে এত খারাপ অবস্থা।’’ পরে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। শুক্রবার শিলিগুড়িতে এক বৈঠকে ঠিক হয়, দু’দেশের মধ্যে যৌথ নদী কমিশন গড়ার জন্য কেন্দ্রকে চাপ দেওয়া হবে। সেচ দফতর সূত্রের দাবি, কমিশন হলে ভুটানে নদী-ঝোরার অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে বড় জলাধার তৈরি হবে। বাঁধ দিতে কেন্দ্রীয় সহযোগিতাও মিলবে।