— ফাইল চিত্র
ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তিদের নাম ঠিক মতো বাদ পড়ছে না। প্রায়শই এই অভিযোগ করছেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। সে বিষয়ে জেলার করণীয় স্থির করল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) দফতর। সোমবার জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ পাঠিয়েছে তারা।
তালিকা থেকে নাম কাটার ক্ষেত্রে ফর্ম-৭ জমা পড়া বাধ্যতামূলক। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ফর্ম-৭-এর সঙ্গে 'ডেথ সার্টিফিকেট' না দিলে তা জমা নিতে অনীহা রয়েছে বলে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। কিন্তু 'ডেথ সার্টিফিকেট' না থাকলেও ফর্ম-৭ জমা নিতেই হবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। তা নিয়ে গড়িমসি করা যাবে না বলে জেলাগুলিতে পাঠানো নির্দেশিকায় বলেছে সিইও দফতর। আর 'ডেথ সার্টিফিকেট' না পাওয়া গেলে এ বিষয়ে এলাকায় গিয়ে বা মৃত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত।
আবার মৃত ব্যক্তি বা অন্যত্র ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যাপার ছাড়াও এলাকায় না থাকার অভিযোগে অনেক সময় কারও কারও বিরুদ্ধে জানিয়ে থাকেন বুথ লেভেল এজেন্টরা বা আমজনতা। সেই ধরনের কোনও অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখতে হবে যুগ্ম বিডিও স্তরের আধিকারিককে, সোমবারের সিইও দফতর থেকে পাঠানো নির্দেশিকায় তা উল্লেখ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এলাকায় গিয়ে অভিযোগের তদন্ত করবেন যুগ্ম বিডিও স্তরের আধিকারিক।
ইতিমধ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বুথ স্তরের সেই কাজ না হলেও এখন ইলেক্টরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) বা সহকারী ইআরও স্তরে হবে অর্থাৎ জেলাশাসক, মহকুমাশাসক বা বিডিও অফিসে গিয়ে তালিকার সংশোধনীর কাজ করার সুযোগ পাবেন আমজনতা। সেখানে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কোনও আবেদনপত্র জমা নিয়ে কোনও ব্যক্তি গেলে কোনওভাবেই তাঁকে ফেরানো যাবে না, জেলায় আসা নির্দেশিকায় তার উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সাধারণ ভাবে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচন এপ্রিল-মে মাসে হয়। সেই নিৰ্বাচনী বছরের জন্য কী এই ধরনের পদক্ষেপ? তা অবশ্য মানছেন না সিইও দফতরের পদস্থরা। তাঁদের দাবি, " ভোটের বছর হোক কিংবা না হোক, সবসময় ভোটার তালিকা নির্ভুল করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা হয়। নিয়ম মেনেই মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার কাজ চলছে।" ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম বাদ না যাওয়া, কয়েকটি বিধানসভা এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির গড় হারের চেয়ে ভোটার বৃদ্ধির হার বেশি-সহ নানা বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছিল। এ বিষয়ে কয়েকটি এলাকায় দিন কয়েক আগে পরিদর্শন করেছিলেন কমিশন সচিব রাকেশ কুমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy