বোঝার উপরে শাকের আঁটি নয়! লোক ও যান চলাচলের বোঝা যাদের নিত্যদিন সইতে হয়, সেই সব সেতু, উড়ালপুল, রেল ওভারব্রিজের উপরে দুর্ঘটনা রোধক বেড়া এখন অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিকর বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তা হলে কি বেড়া লাগানোর ব্যাপারে উপর মহলের নির্দেশ তড়িঘড়ি বলবৎ করতে গিয়ে প্রযুক্তির ন্যূনতম নিয়মবিধির সঙ্গেই সমঝোতা করতে হয়েছিল? দীর্ঘ এক বছর পরে সরকার সেই ‘ভুল’ কার্যত স্বীকার করায় এই প্রশ্ন উঠছে পূর্ত দফতরের অন্দরেই। ভুল শোধরানোর জন্য নতুন করে পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছে দফতর। কিন্তু এই নির্দেশের ফলে উভয়সঙ্কটে পড়তে হবে বলেই আশঙ্কা করছেন পূর্ত ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ।
২০১৮ সালে মুর্শিদাবাদে সেতুর রেলিং ভেঙে যাত্রিবাহী বাস নদীতে পড়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। তার পরেই রাজ্যের সব সেতু, উড়ালপুল, রেলওয়ে ওভারব্রিজে (আরওবি) নিরাপত্তা বিধি রূপায়ণের নির্দেশ দেয় নবান্ন। রাতারাতি সেগুলিতে ‘ক্র্যাশ ব্যারিয়ার’ বা দুর্ঘটনা রোধক বেড়া তৈরির কাজও শুরু হয়ে যায়। এত দিন বাদে দফতর নির্দেশিকা দিয়ে জানাচ্ছে, নতুন ‘ক্র্যাশ ব্যারিয়ার’ লাগানোর ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের নির্ধারিত বিধি মেনে চলতে হবে। এত দিন ধরে সেতু-উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা না-করেই বর্তমান ক্র্যাশ ব্যারিয়ার লাগানোর ফলে কাঠামোর উপরে বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে আগামী দিনে বিভিন্ন সেতু, উড়ালপুল, আরওবি-র ভীষণ ক্ষতি হতে পারে। তাই কালবিলম্ব না-করে সেগুলির পরিমার্জন দরকার!