জাতীয় স্তরে ফেডারেশন অব অ্যাসোসিয়েশন ইন ইন্ডিয়ান টুরিজ়ম অ্যান্ড হসপিটালিটির (ফেথ) প্রেসিডেন্ট এবং আইটিসি-র এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর নকুল আনন্দ ছাড়াও বিজিবিএসে থাকবেন হোটেল এবং পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রথম সারির বহু সংস্থার কর্ণধারেরা। পর্যটন সংগঠনগুলির মতে, বিজিবিএসের আগে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের সামনে এটা একটা বড় সুযোগ।
ফাইল চিত্র।
সারা দেশ এবং রাজ্যের অর্থনীতিতে পর্যটন ক্ষেত্রের অংশীদারি বেশ বড়। রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে (বিজিবিএস) এই ক্ষেত্রটিকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। বিজিবিএসের আগে তাই পুলিশ থেকে পরিবহণ, পূর্ত থেকে এমএসএমই, ভূমি থেকে বন-পরিবেশ— সব দফতরকে নিয়ে পর্যটন সমন্বয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে সরকার। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পদক্ষেপ রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রের প্রতি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের নজর টানতে সহযোগিতা করবে। সরকার আসন্ন শিল্প সম্মেলনে যে-ছ’টি ক্ষেত্রকে সামনে রাখছে, পর্যটন তার অন্যতম।
মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই ‘স্টেট টুরিজ়ম প্রোমোশন টাস্ক ফোর্স’-এ থাকছেন স্বরাষ্ট্র, পর্যটন, অর্থ, ছোট-ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই), পূর্ত, পরিবহণ, ভূমি ও ভূমিরাজস্ব, তথ্য ও সংস্কৃতি, বন, পরিবেশ, কারিগরি শিক্ষা দফতরের সচিবেরা। রাজ্যের পর্যটনে নতুন সম্ভাবনা সন্ধানের পাশাপাশি এই সংক্রান্ত সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি দেখভাল করবেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। চিরাচরিত পর্যটন ক্ষেত্র ছাড়াও রাজ্যের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে পর্যটনকে যুক্ত করা, লোকশিল্প-হস্তশিল্প, গ্রামীণ পর্যটন, হোমস্টে, ইকো টুরিজ়ম, নদীকেন্দ্রিক পর্যটনের সম্ভাবনা তুলে ধরার পরিকল্পনা করবে টাস্ক ফোর্স। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যটন সংস্থা এবং কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণেরও দেখভালও করবে তারা।
এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, ‘‘দেশের জিডিপি-তে প্রায় ৮% এবং রাজ্যের জিএসডিপি-তে প্রায় ১২.৮% অবদান পর্যটনের। তাই এ ক্ষেত্রে কার্যত এক-জানলা সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। অনেক ধরনের বিষয় বা সমস্যা থাকে, যেগুলি অন্য অনেক দফতরের সঙ্গে
সম্পর্কিত। সেগুলি মেটাতে সবটি দফতরের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজ করবে এই টাস্ক ফোর্স। মুখ্যসচিব নিজে কমিটির মাথায় রয়েছেন।
ফলে কেন্দ্রীয় ভাবে এই নজরদারি চালানো সম্ভব।’’
প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের সহজে সমাধানে রাজ্যে এমনই এক-জানলা পদ্ধতি চালু হয়েছে। ফলে কোনও শিল্প সংস্থার চাহিদা বা সমস্যা মেটানোর প্রশ্নে সেই পদ্ধতি কার্যকর হচ্ছে। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব টুর অপারেটরের (আয়োটা) রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ দত্তের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিশ্বে সব চেয়ে বড় শিল্প এবং কর্মসংস্থানের উৎস পর্যটন। এর উন্নয়ন কোনও একটি দফতরের উপরে নির্ভর করে না। তাতে গোটা প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত সময়োচিত এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ। কারণ, সব দিক থেকেই পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনে সম্ভাবনাপূর্ণ রাজ্য।’’
সরকারি সূত্রের দাবি, এ বারের শিল্প সম্মেলনে পর্যটন সংক্রান্ত আলোচনায় যোগ দিচ্ছে দেশ-বিদেশের পর্যটন ক্ষেত্রে যুক্ত প্রথম সারির প্রায় সব অংশীদার। জাতীয় স্তরে ফেডারেশন অব অ্যাসোসিয়েশন ইন ইন্ডিয়ান টুরিজ়ম অ্যান্ড হসপিটালিটির (ফেথ) প্রেসিডেন্ট এবং আইটিসি-র এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর নকুল আনন্দ ছাড়াও বিজিবিএসে থাকবেন হোটেল এবং পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রথম সারির বহু সংস্থার কর্ণধারেরা। পর্যটন সংগঠনগুলির মতে, বিজিবিএসের আগে
রাজ্যের পর্যটন শিল্পের সামনে এটা একটা বড় সুযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy