কলকাতায় চিনের উপদূতাবাস কোথায় হবে তা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। চিন চায় কলকাতার উপদূতাবাসটি হোক বিবাদী বাগ থেকে আলিপুরের মধ্যে কোনও একটি স্থানে। আর নবান্ন চায়, নিউ টাউনের ‘ডিপ্লোম্যাটিক এনক্লেভ’-এর মধ্যেই সেটা হোক। কিন্তু উভয় পক্ষই অনড় থাকায় থমকে রয়েছে কলকাতায় উপদূতাবাস নির্মাণের কাজ।
এ সপ্তাহেই নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন চিনের রাষ্ট্রদূত লুও ঝাউহুই। তাঁকে চিনে যাওয়ার আমন্ত্রণও জানান তিনি। এ বারের বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনে চিন থেকে বড় প্রতিনিধি দল এসেছিল। কুনমিং এর সঙ্গে কলকাতার সম্পর্ক আরও জোরদার করার ব্যাপারেও কথা হয়েছে দু’পক্ষের। চিনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারে বিশেষ উৎসাহ রয়েছে চিনের। সেই কারণেই কলকাতার উপদূতাবাসটি নির্মাণের জন্য কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে জমি চাইছে চিন। এখন সেটি চলছে সল্টলেকের ভাড়াবাড়িতে।
নবান্নের খবর, রাজারহাটের ডিপ্লোম্যাটিক এনক্লেভে উপদূতাবাস তৈরির জন্য ৪-৫ একর জমি দেওয়ার কথা জানিয়েছিল সরকার। সেখানেই মার্কিন সরকার তাদের নতুন দূতাবাস তৈরির কথা ভাবছে। ওয়াশিংটন থেকে একটি বড় প্রতিনিধি দলও রাজারহাট-নিউটাউনের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ খতিয়ে দেখে গিয়েছে। মার্কিন কর্তারা বৈঠক করে গিয়েছেন রাজ্যের সচিব পর্যায়ের অফিসারদের সঙ্গেও। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশও রাজারহাটে উপদূতাবাস নির্মাণে রাজি হয়েছে। শুধু রাজি নয় চিন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলের চাঁদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে বাঁচল নাসার স্যাটেলাইট!
নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘মূল কলকাতায় আর কোনও স্থায়ী দূতাবাস তৈরি হোক তা চাই না। বরং এখন যে সব দূতাবাস রয়েছে তা দিল্লি চাণক্যপুরীর মতো রাজারহাটের নির্দিষ্ট জায়গায় যাতে চলে যায়, সেই চেষ্টা হচ্ছে। অনেকেই যেতে রাজি। আশা করব চিনও রাজারহাটে যাবে।’’
দূতাবাসের জায়গা নিয়ে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিদেশ মন্ত্রকের বিশেষ অনুমোদন নিতে হয়। চিন যে জায়গায় দূতাবাস তৈরি করতে চাইছে, সেখানে সেই অনুমোদন পাওয়া বেশ মুশকিল। সে সব বিবেচনা করেই নীতিগত অবস্থান নিয়েছে নবান্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy