Advertisement
E-Paper

খালি পড়ে আছে প্রধান শিক্ষকের ২৫০০ পদ

শিক্ষা মহলের দাবি, সাম্প্রতিক অতীতে এক সঙ্গে এত স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকার রেকর্ড নেই। শেষ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল ২০১৫ সালে।

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৮ ০১:৪২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পড়ুয়াদের কাছে রাজ্য সরকারের সব প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে স্কুল পরিচালনার অধিকাংশ দায়িত্বই থাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উপরে। অথচ রাজ্যের ১২ হাজার উচ্চ প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত স্কুলে আড়াই হাজার পদে প্রধান শিক্ষকই নেই। সেই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এর ফলে পরোক্ষে বঞ্চিত হচ্ছে পড়ুয়ারাই।

শিক্ষা মহলের দাবি, সাম্প্রতিক অতীতে এক সঙ্গে এত স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকার রেকর্ড নেই। শেষ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল ২০১৫ সালে। গত বছরের ডিসেম্বরে ফের পরীক্ষা হলেও তার ফল প্রকাশ না হওয়ায় আতান্তরে পড়েছে বহু স্কুল ও শিক্ষক। লিখিত পরীক্ষার দেরি হওয়ায় নিয়োগের গোটা প্রক্রিয়া পুরোপুরি পিছিয়ে গিয়েছে বলে দাবি তাঁদের।

তবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক কর্তা জানান, ইতিমধ্যে লিখিত পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত ফল প্রকাশ হবে। তার পরেই ইন্টারভিউ শুরু হবে। নিয়োগ দ্রুত হয়ে যাবে।

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘নিয়োগের বিধির জন্য একেই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি বেরোতে দেরি হল। তার পরেও যে ভাবে দেরি হচ্ছে, সেটা অনভিপ্রেত।’’ প্রধান শিক্ষক সমিতির এক সদস্য জানান, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির স্কুলে প্রধান শিক্ষকের প্রচুর প্রশাসনিক কাজ থাকে। সব ক্ষেত্রে সেগুলি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকেরা করতে পারেন না। তাই পদ শূন্য থাকলে আখেরে ক্ষতি স্কুলেরই। কমিশন যত তাড়াতাড়ি তা বুঝবে, ততই ভাল।

তবে স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বহু স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকা সত্ত্বেও শূন্যপদের তালিকা পাঠায়নি। জেলা স্কুল পরিদর্শকদের সবটা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে আপাতত লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিকেই নজর তাঁদের।

Vacancy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy