সবুজকলি সেন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বিশৃঙ্খলা ঘিরে তোলপাড় দেশ। হাতাহাতি থেকে শুরু করে বেদগানের সময় সিটি দেওয়া, জয় শ্রীরাম ধ্বনি— সবই হয়েছে শুক্রবার। সমাবর্তনে আমন্ত্রিত বিজেপি সমর্থকদের পাশাপাশি অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দিকেও।
শুক্রবারের এ হেন ঘটনায় তিনিও যে বিরক্ত, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বভারতীতে পান থেকে চুন খসলেও উপাচার্যকে দায় নিতে হয়। আপ্রাণ চেষ্টা করেছি পরম্পরা বজায় রেখে সব সুষ্ঠু ভাবে করার। কিন্তু নিয়মকানুন, ব্যবস্থার নানা বাধা ছিল। সমাবর্তনে যে চিৎকার নিয়ে এত কথা হচ্ছে, ওখানে বসে আমাকেও তো সে সব শুনতে হয়েছে!’’
আচার্যের ভাষণ শুনে শিক্ষক থেকে আশ্রমিক অনেকেরই অভিযোগ, স্থান-কাল ভুলে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সমাবর্তনকে রাজনৈতিক প্রচারের মঞ্চে পরিণত করেছিলেন তিনি। কম যাননি তাঁর শিষ্যেরাও। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, বিজেপির ছোট-মাঝারি নেতা-নেত্রীদের জন্য প্রায় দেড়শো আমন্ত্রণপত্র দিতে হয়েছিল। আচার্যের ভাষণের সময় তাঁরাই ‘মোদী-মোদী’ চিৎকার করেন।
শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিকদের অনেকের মতে, জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে অতীতে বহু প্রধানমন্ত্রীই সমাবর্তনে এসেছেন। কেউ কেউ রাতও কাটিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গী হয়ে রাজনৈতিক নেতারাও যে আসেননি এমন নয়। কিন্তু কোথাও একটা সীমারেখা ছিল। রাজনীতির রং পারতপক্ষে লাগেনি বিশ্বভারতীর গায়ে। সমাবর্তনের সময় তো নয়ই।
এ বার সব বাঁধ ভেঙে গেল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy