প্রতীকী ছবি।
কোথাও মাতৃভাষায় পর্যাপ্ত প্রশ্নপত্র নেই, কোথাও আবার প্রশ্নপত্রের ফটোকপি দিয়ে নেওয়া হল পরীক্ষা। দিনভর ‘ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট’ (নিট) নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে এ রকমই নানা টানাপড়েন চলল।
রবিবার সকাল দশটা থেকে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু রাজ্যের কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র নিয়ে বিভ্রাটের অভিযোগ ওঠে।
কলকাতার কাশীপুরের একটি সরকারি স্কুলে পর্যাপ্ত প্রশ্নপত্র মেলেনি বলে অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের একাংশ। অভিযোগ, ওই কেন্দ্রে ৬০০ পরীক্ষার্থীর আসন থাকলেও প্রশ্নপত্র ছিল ৫২০। এই প্রশ্নপত্রেই উত্তর লিখতে হয়। এই অবস্থায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ওই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, যাঁদের প্রশ্নপত্র দেওয়া যায়নি, তাঁদের প্রশ্নপত্রের ফটোকপি দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। দিল্লি থেকেই কম প্রশ্নপত্র পাঠানোয় এই গোলমাল হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘‘প্রত্যেক প্রশ্নপত্রে আলাদা কোড ও সিরিয়াল নম্বর থাকে। ফলাফল প্রকাশের সময়ও সেই কোড ব্যবহার হয়। ফটোকপির প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলে আরও জটিলতা তৈরি হবে কিনা বুঝতে পারছি না!’’
হুগলি জেলার কোন্নগরে একটি বেসরকারি স্কুলে আবার পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ তোলেন, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় পর্যাপ্ত প্রশ্নপত্র থাকলেও বাংলা ভাষায় প্রশ্নপত্র যথেষ্ট ছিল না। একাধিক পরীক্ষার্থী বাংলা ভাষার প্রশ্নপত্রের আবেদন করলেও তা মেলেনি। ফলে তাঁদের ইংরেজি প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এক অভিভাবকের কথায়, ‘‘বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়ার বাংলা ভাষায় প্রশ্ন পাওয়ার অধিকার থাকলেও মিলল না! ফলে পরীক্ষার ফল নিয়ে আশঙ্কা থাকবেই।’’
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করতে কর্তৃপক্ষ পোশাক বিধি থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জিনিস— বহু ব্যাপারেই কড়া নির্দেশিকা তৈরি করেছেন। কিন্তু যা নিয়ে এত আয়োজন, সেই পরীক্ষাটাই ঠিক মতো করা গেল না অব্যবস্থার জন্য। কেন এগুলো দেখা হল না, সে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। যদিও সিবিএসই কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy