রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেরার পথে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ। বুধবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
ভোট ঘোষণার আগে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে বলেছিলেন, তিনি অসহায়। বুধবার ফের রাজভবনে গিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে বলে এসেছেন, অভিযোগের বন্যায় তিনি দিশাহারা। রাজ্যপাল তাঁকে পদের মর্যাদা বজায় রেখে কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন। এবং তার জেরে কমিশনার একটু নড়েচড়ে বসতে পারেন বলে কমিশন সূত্রের খবর।
এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক সেরে দফতরে ফিরে কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন অমরেন্দ্র। সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন কমিশনের কাছে যে সব অভিযোগ জমা পড়েছে, তা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখেছেন তিনি। অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে কয়েকটি এলাকায় পঞ্চায়েত আইনের ৪৬ (৩) ধারা প্রয়োগ করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার মেয়াদ এক দিন বাড়ানোর কথা ভাবছে কমিশন। সে ক্ষেত্রে বিডিও দফতরের বদলে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির মনোনয়ন মহকুমাশাসকের দফতরে জমা দেওয়া যাবে। তাতে বিরোধীরা খানিকটা হলেও বাড়তি নিরাপত্তা বোধ করতে পারেন।
রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের বৈঠকের পরে কমিশনের কাছ থেকে নবান্নও কিছু তথ্য চেয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বুধবার পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রকৃত চিত্র নবান্নে পাঠাতে পারে কমিশন।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র তোলাকে ঘিরে বোমা-গুলি, রণক্ষেত্র রায়গঞ্জ
এ দিকে, রাজ্যপাল যে ভাবে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে ডেকে পাঠিয়ে ভোট-পরিস্থিতি নিয়ে নিজের উদ্বেগ ও অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন, তা মোটেই ভাল ভাবে নেয়নি তৃণমূল। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে আপত্তির কথা জানিয়েছেন দলীয় সাংসদেরা। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘রাজভবন কার্যত বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে।’’ তৃণমূলের মতে, রাজ্যপালের কারণে আখেরে কেন্দ্র-রাজ্য দূরত্বই সৃষ্টি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy