Advertisement
E-Paper

ইতিহাস যখন গুলিয়ে যায়

রবীন্দ্রনাথ তখন তাঁর কাছে যান এবং ফলের রস খাইয়ে গাঁধীর অনশন ভঙ্গ করেন। এর পরেই কবি লিখেছিলেন, ‘জীবন যখন শুকায়ে যায়’ গানটি।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৮ ০৬:৩৫
ক্যাথিড্রাল রোডে রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী

ক্যাথিড্রাল রোডে রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী

রবীন্দ্র-স্মরণে গুলিয়ে গেল ইতিহাস! বুধবার পশ্চিমবঙ্গ তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তরফে রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল ক্যাথিড্রাল রোডে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বেলেঘাটায় যখন মহাত্মা গাঁধী অনশন করছিলেন, রবীন্দ্রনাথ তখন তাঁর কাছে যান এবং ফলের রস খাইয়ে গাঁধীর অনশন ভঙ্গ করেন। এর পরেই কবি লিখেছিলেন, ‘জীবন যখন শুকায়ে যায়’ গানটি।’’

যদিও ইতিহাস বলছে, গাঁধী বেলেঘাটায় অনশন করেছিলেন ১৯৪৭ সালে, সাম্প্রদায়িক হিংসার পর্বে। রবীন্দ্রনাথের জীবনাবসান হয়েছে ১৯৪১ সালে। শুধু তা-ই নয়, ‘জীবন যখন শুকায়ে যায়’ গানটি লেখা ২৮ চৈত্র, ১৩১৬ বঙ্গাব্দে বা ১৯১০ সালে। তবে ১৯৩২ সালে গাঁধী যখন পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে অনশন করছিলেন, সে সময়ে রবীন্দ্রনাথ গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করে অনশন ভাঙতে। কমলা নেহরু ফলের রস বানিয়েছিলেন, কস্তুরবা গাঁধী সেটি গাঁধীকে খাইয়ে দিয়েছিলেন। গাঁধী রবীন্দ্রনাথের কাছে সে সময়ে শুনতে চেয়েছিলেন ‘জীবন যখন শুকায়ে যায়’ গানটি।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বাঙালির অন্তরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ধমকে চমকে আমাদের রবীন্দ্রসংস্কৃতিকে কেউ বিপথে চালিত করতে পারবে না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার পর রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়। মঞ্চে উঠে এক লাইন গান করেন তিনি। বাকি শিল্পীরা সেই সুর ধরেই অনুষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে যান। অন্য বারের চেয়ে এ বারের অনুষ্ঠান তুলনায় ছিল সংক্ষিপ্ত।

Rabindranath Tagore Mamata Banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy