Advertisement
E-Paper

ডাক্তারি-জটে কোর্টের দিকে তাকিয়ে রাজ্য

প্রবেশিকা নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে ডাক্তারি পাঠ্যক্রমে ভর্তি নিয়ে আবার ঘোরতর ঝামেলা বেধেছে। বিশেষ করে বেসরকারি মেডিক্যালে কবে কী ভাবে ভর্তি-পর্ব সাঙ্গ হবে, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত নানান মামলার জেরে সেটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রাজ্য সরকার তাকিয়ে আছে হাইকোর্টের দিকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৬

প্রবেশিকা নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে ডাক্তারি পাঠ্যক্রমে ভর্তি নিয়ে আবার ঘোরতর ঝামেলা বেধেছে। বিশেষ করে বেসরকারি মেডিক্যালে কবে কী ভাবে ভর্তি-পর্ব সাঙ্গ হবে, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত নানান মামলার জেরে সেটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রাজ্য সরকার তাকিয়ে আছে হাইকোর্টের দিকে।

যাদবপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ম্যানেজমেন্ট কোটায় ভর্তি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। ৩ অক্টোবর, সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। ওই মামলায় হাইকোর্ট কী রায় দেয়, তারই অপেক্ষায় আছে রাজ্য সরকার।

সমস্যা এ বার পিছু নিয়েছে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার সময় থেকেই। মেধা-তালিকাকে উপেক্ষা করে ঢালাও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি চলছে বলে অভিযোগ ওঠে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, কোনও রাজ্যই আর নিজেদের মতো করে মেডিক্যাল জয়েন্ট এন্ট্রান্স নিতে পারবে না। সরকারি ও বেসরকারি সব মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তি করতে হবে অভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে।

অন্তত এ বারের মতো বিভিন্ন রাজ্য যাতে মেডিক্যাল জয়েন্ট নিতে পারে, সেই ছাড় দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন-নিবেদন শুরু হয়। সর্বোচ্চ আদালত সেই ছাড় দেওয়ার পরে জয়েন্টের ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় স্তরে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ডাক্তারিতে ছাত্র ভর্তি করতে হবে এবং সেই কাউন্সেলিং করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার। গোল বেধেছে এই নির্দেশের ‘রাজ্য’ কথাটি নিয়ে। রাজ্য মানে এখানে কি শুধু মধ্যপ্রদেশ, নাকি সব রাজ্যের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ প্রযোজ্য? আইনজীবী শিবিরের একাংশ বলছে, আদালত এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কাউন্সেলিং করার দায়িত্ব দিয়েছে সব রাজ্যকেই।

এমসিআই বা মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার নির্দেশ, সব রাজ্যে মেডিক্যালে ভর্তি শেষ করতে হবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। নতুন ভাবে কেন্দ্রীয় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সেই ভর্তি সম্ভব নয় বলে গত সোমবার বিচারপতি বসাকের আদালতে জানান রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল লক্ষ্মী গুপ্ত। কাউন্সেলিং নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের কথা উল্লেখ করেন যাদবপুরের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী। অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র বুধবার জানান, মধ্যপ্রদেশের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে-নির্দেশ দিয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গেও কার্যকর হবে কি না, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে হাইকোর্টে। সেখানে ব্যাখ্যা না-পেলে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে শীর্ষ আদালতের কাছেই।

Medical college High Court Medical students Entrance admission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy