খনি-বণ্টন সংক্রান্ত একটি নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে চলেছে সিইএসসি।
সংস্থা সূত্রে খবর, আসানসোলের কাছে সরিষাথলি নামে সিইএসসি-র একটি কয়লা খনি রয়েছে। ১৯৯৩-এ কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক সিইএসসি-র মালিক আরপিজি গোষ্ঠীকে ওই খনিটি দিয়েছিল। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যে ২১৪টি খনি বণ্টন বাতিল ঘোষিত হয়েছে, তার মধ্যে এটিও রয়েছে। ফলে, ৩১ মার্চের পরে ওই খনি থেকে আর কয়লা তোলা যাবে না। এই রায় পুর্নবিবেচনার আর্জি জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে সিইএসসি। সিইএসসি-র কর্তাদের একাংশ বলছেন, “আমাদের মতো বহু সংস্থাই আদালতে যাবে।”
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের ছ’টি খনিরও আবণ্টন বাতিল হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি এই সরকারি সংস্থাটি। তবে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই নিয়ে নিগম রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে-সহ গোটা দেশেই কয়লা খনি বণ্টন-সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। ৩১ মার্চের পরে কয়লা তোলা বন্ধ হলে সংশ্লিষ্ট খনিগুলির পরিণতি কী হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ৩১ মার্চের পর বিভিন্ন রাজ্যের হাতে থাকা খনিগুলির ভবিষ্যৎই বা কী হবে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট করে তা বলা হয়নি।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, কয়লার ঘাটতির জেরে এ বার দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ সঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ রাজ্যে নতুন শিল্প নেই বলে পরিস্থিতি ততটা সঙ্গীন নয়। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোল ইন্ডিয়া ও তার শাখা সংস্থাগুলির ব্যর্থতায় জ্বালানি উৎপাদনের পরিমাণ তলানিতে ঠেকেছে বলে পর্ষদের দাবি।
এই পটভূমিতে সরিষাথলির খনিটি বণ্টনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে সিইএসসি। তাদের বক্তব্য, ওই খনি থেকে যে পরিমাণ কয়লা তুলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হয়, সেই ঘাটতি কোল ইন্ডিয়া মেটাতে পারবে তো? বিদ্যুৎ-শিল্পমহল সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর ব্যাপারে সিইএসসি-র মতো বহু সংস্থাই তলে-তলে আইনি পদক্ষেপের তোড়জোড় করে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy