চা বাগানের দুর্দশা নিয়ে তাঁরা আগেই সরব হয়েছিলেন সংসদে। এ বার রাজ্যের অন্যান্য সমস্যাগুলোও সংসদে তুলে ধরে সহযোগিতার দাবি জানালেন তৃণমূল সদস্যরা।
আজ দুপুরে পাট শিল্পের বেহাল দশা নিয়ে সরব হন তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে পাট শিল্পের দুরবস্থার প্রতি কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই আমরা। আমাদের রাজ্যে পাট শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। ২লাখ ১৪ হাজার ৭১৪ জন কর্মী এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। গোটা দেশের মোট পাট উৎপাদনের ৭৯.৫৭ শতাংশ আসে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই।” অথচ কোনও মতে চলছে পাট কারখানাগুলি। সে প্রসঙ্গে ত্রিবেদী বলেন, “ন্যাশনাল জুট মানুফ্যাকচারার্স কর্পোরেশন লিমিটেড, দ্য বার্ড জুট অ্যান্ড এক্সপোর্ট লিমিটেড-সহ বিভিন্ন মিল গত দশ বছর ধরে রুগ্ণ হিসাবে ঘোষিত। এর মধ্যে ৩টি কারখানা পুনরুজ্জীবন প্যাকেজের আওতায় থাকলেও বিপুল ক্ষতির বোঝা ঘাড়ে নিয়ে চলছে।”
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি, ‘মহাত্মা গাঁধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম’-এর অধীনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যা খরচ (৫৬০০ কোটি টাকা) করেছে, তা সর্বভারতীয় রেকর্ড। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার এখনও তার ভাগের টাকাটা দিচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত ৮৮৫ কোটি টাকা বকেয়া পরে রয়েছে। সৌগতবাবুর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এই বকেয়া টাকা না পাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। টাকা না পেলে গ্রামের গরিব মানুষগুলোকে ১০০ দিনের কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেওয়া যাবে না।”
লোকসভার পাশাপাশি আজ রাজ্যসভাতেও সরব হয়েছে তৃণমূল। সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের বক্তব্য, “সংশোধনাগারগুলির আধুনিকীকরণে রাজ্য সরকার ২২৩৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি সেফ সিটি প্রকল্পের জন্যও ১৫৮ কোটি টাকার প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।” পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের অবাধে গরু পাচারের বিষয়টিও আজ সংসদে উত্থাপন করেন তৃণমূলের এই
সাংসদ। তাঁর কথায়, “রাজ্যের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলি থেকে যেন একতরফা ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার না করা হয়।” সে সঙ্গে নেতাজির গোপন ফাইলগুলি সংসদে নিয়ে আসার দাবিতেও সরব হন সুখেন্দুবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy