তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ঝুলছিল অনেক আগে থেকেই। তাই ভুয়ো পরিচয় দিয়ে সারদা কমিশনের এজলাসে ঢুকেছিলেন র্যামেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিরেক্টর (ফিনান্স) সুকান্ত দেব। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সেখানে হাজির এক দল আমানতকারী কমিশনের চেয়ারম্যান, বিচারপতি শামলকুমার সেনকে জানান, ওই ব্যক্তিই সংস্থার ফিনান্স ডিরেক্টর। তার পরেই কমিশনে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা সুকান্তবাবুকে আটকে রাখেন। কমিশনের কাজ শেষ হওয়ার পরে বিকেলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক দল পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
র্যামেল ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রামেশ্বর পোদ্দার গত ১০ সেপ্টেম্বর সারদা কমিশনে জানিয়েছিলেন, তাঁর সংস্থার প্রায় ১৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। সেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে তাঁরা আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে চান। তাঁদের সম্পত্তির পুরো তথ্য মিলবে সংস্থার ফিনান্স ডিরেক্টর এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাছে। তাঁদের ঠিকানাও দেওয়া হয় কমিশনকে।
কমিশন সূত্রের খবর, র্যামেলের ফিনান্স ডিরেক্টর সুকান্তবাবুর বাড়ি পলতায়। তাঁকে কমিশনে হাজির করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিশনের সচিব মিহির ভট্টাচার্য এ দিন জানান, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট কমিশনে জানায়, সুকান্ত দেব পলাতক। বাঁকুড়ার বিষ্ণপুর থানা এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর খোঁজ না-মেলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তাঁর বাড়ি ব্যারাকপুর এলাকায় বলে সেই পরোয়ানার প্রতিলিপি ওই কমিশনারেটের কাছেও পাঠানো হয়েছে। সেই প্রতিলিপিও এ দিন কমিশনে জমা পড়েছে।
সোমবার কমিশনে শুনানি চলাকালীন এক ব্যক্তি হঠাৎই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েন। তাঁকে দেখেই র্যামেলের আমানতকারীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘এই তো ফিনান্স ডিরেক্টর’। সন্দেহ হওয়ায় কমিশনের সদস্যেরা ওই ব্যক্তির পরিচয়পত্র দেখতে চান। তখনই পুরো ব্যাপারটা ধরা পড়ে। মিহিরবাবু জানান, কমিশন-প্রধানের নির্দেশে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে খবর দেওয়া হয়। বলা হয়, কমিশনের এজলাসে গ্রেফতার করা যাবে না। সেই অনুসারে বিকেলে কমিশনের দফতর থেকে বেরোনোর পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy