Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জাঁকজমক হঠাৎ উধাও, নিরালায় মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর

শুক্রবার সকালেও অন্য দিনের মতোই সকাল ৬টার সময় ঘুম থেকে উঠেছেন। হাত-মুখ ধুয়ে চা-মুড়ি খেয়ে জগিং করেছেন। ঠাকুরবাড়িতে অন্য দিনের মতোই ঘোরাঘুরি করেছেন। বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে গিয়েও সময় কাটিয়েছেন। পরিচিতদের সঙ্গে সামান্য গল্পগুজব করেছেন। তবে রাজনীতির কথা ওঠেনি। আর যাননি বড়মার ঘরেও।

স্নান সেরে ফিরছেন মঞ্জুল। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

স্নান সেরে ফিরছেন মঞ্জুল। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

সীমান্ত মৈত্র
গাইঘাটা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:০৪
Share: Save:

শুক্রবার সকালেও অন্য দিনের মতোই সকাল ৬টার সময় ঘুম থেকে উঠেছেন। হাত-মুখ ধুয়ে চা-মুড়ি খেয়ে জগিং করেছেন। ঠাকুরবাড়িতে অন্য দিনের মতোই ঘোরাঘুরি করেছেন। বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে গিয়েও সময় কাটিয়েছেন। পরিচিতদের সঙ্গে সামান্য গল্পগুজব করেছেন। তবে রাজনীতির কথা ওঠেনি। আর যাননি বড়মার ঘরেও।

দেখা গেল, মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের জন্য দরজায় আর দাঁড়িয়ে নেই লালবাতি লাগানো গাড়ি। নেই পুলিশি সিকিউরিটি। বেলা ১২টার সময় দেখা গেল স্নান সেরে ঘরে ঢুকলেন। বসে পড়লেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে। একটু পরেই দুপুরে খাবার খাবেন।

দিনটা একটু অন্য রকম কি?

মঞ্জুলের জবাব, “আমি সব কিছুতেই অভ্যস্ত। লালবাতি গাড়ি থাকতে হবে, তার মানে নেই। আমি সব কিছুই মানিয়ে নিতে পারি। যখন যেমন, তখন তেমন। দিনটা আমার কাছে বিশেষ পার্থক্যের কিছু নেই।” তবে এ দিনও তিনি তৃণমূলের একাংশের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মঞ্জুলের কথায়, “আমি নাম বলতে চাই না। তবে ঠাকুরবাড়িতে বিভাজন সৃষ্টি করেছে তৃণমূল। যা মতুয়া ভক্তেরা ভাল চোখে মেনে নেবেন না।”

মমতাবালার উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য, “মতুয়া মহাসঙ্ঘে মেয়েদের সঙ্ঘাধিপতি হওয়ার নিয়ম নেই। মেয়েরা মা হন। সে কারণ প্রমথরঞ্জন ঠাকুর মারা গেলে বড়মা সঙ্ঘাধিপতি না হয়ে দাদা কপিলকৃষ্ণ সঙ্ঘাধিপতি হয়েছিলেন। এই জিনিসও মতুয়া ভক্তেরা মেনে নেবেন না।” প্রসঙ্গত, মমতাদেবী পাল্টা সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘ গড়েছেন এবং নিজে তার সঙ্ঘাধিপতিও হয়েছেন।

দল ছাড়ার পরে তৃণমূলের কেউ কি ফোন করেছিল?

সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রীর কথায়, “তৃণমূল আমার কাছে অতীত। ওঁদের কেউ ফোন করেননি। আমি তার আশাও করি না। আমি বিজেপি করি। কেন দলত্যাগ করেছেন এ দিন তার ব্যাখা দিয়েছেন মঞ্জুল। বলেছেন, “ছেলের টিকিটের জন্য নয়, বিজেপির আদর্শ দেখে এসেছি।” মন্ত্রিত্বও তো ছাড়লেন। আপনি কি নিশ্চিত, সুব্রতকে বিজেপি টিকিট দিচ্ছে? মঞ্জুলের জবাব, “নিশ্চয়ই দেবে। বিজেপির প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। বিজেপিতে ওই রকম কিছু হয় না।”

এ দিকে, মঞ্জুল-সুব্রত বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এবং সুব্রতর দলীয় টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বিজেপির একাংশের মধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জেলা বিজেপির এক নেতার কথায়, “সকলের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। কর্মীদের ক্ষোভ অনেকটাই মিটে গিয়েছে।” দলের গত লোকসভার প্রার্থী কেডি বিশ্বাস বলেন, “ওঁদের দলে যোগদান যদি বিজেপির আদর্শ দেখে বা উদ্বাস্তুদের দাবি পূরণের জন্য হয়, তা হলে ঠিক আছে। তবে ব্যক্তিস্বার্থের জন্য হলে ঠিক নয়।”

এ দিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুব্রতরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। সুব্রত এ দিন বলেন, “আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। পরিবারের সকলে আলোচনা করেছি। বিষয়টি পুলিশকে জানাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

manjulkrishna thakur gaighata simanta moitra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE