Advertisement
E-Paper

তপন-হত্যার তদন্তেও রাজ্যকে ধাক্কা কোর্টের

বীরভূমের পাড়ুই কাণ্ড থেকে এমডি পাঠ্যক্রম। বিভিন্ন বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য এ বার হাওড়ার তপন দত্ত হত্যাকাণ্ড নিয়েও বিচারপতি দত্তের তোপ ও তিরস্কারের মুখে তারা। বালির বাসিন্দা তপনবাবুকে খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে যে-মামলা হয়েছে, তার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। বিচারপতি দত্ত মন্তব্য করেন, রাজ্য যদি বুঝত তপন দত্ত খুনের তদন্তে কোথায় গাফিলতি, তবে মামলার প্রয়োজন হত না!

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৪২

বীরভূমের পাড়ুই কাণ্ড থেকে এমডি পাঠ্যক্রম। বিভিন্ন বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য এ বার হাওড়ার তপন দত্ত হত্যাকাণ্ড নিয়েও বিচারপতি দত্তের তোপ ও তিরস্কারের মুখে তারা।

বালির বাসিন্দা তপনবাবুকে খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে যে-মামলা হয়েছে, তার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। বিচারপতি দত্ত মন্তব্য করেন, রাজ্য যদি বুঝত তপন দত্ত খুনের তদন্তে কোথায় গাফিলতি, তবে মামলার প্রয়োজন হত না!

শুধু তপন-হত্যা নয়। সাধারণ ভাবে বিচারপতি দত্তের এ দিনের পর্যবেক্ষণ হল: রাজ্য সরকার যদি বোঝে তাদের কর্তব্য কী, তারা যদি অনুভব করে গাফিলতি কোথায় এবং তা শুধরে নেয়, তা হলে হাইকোর্টের মামলার সংখ্যা অর্ধেক কমে যায়। কিন্তু তা হচ্ছে না। এটাই দুর্ভাগ্যজনক।

২০১১ সালের ৬ মে রাতে বালির জলাভূমি রক্ষা কমিটির নেতা তপনবাবুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ যে-পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল, তাঁদের বেকসুর মুক্তি দিয়েছে হাওড়া জেলা আদালত। মামলায় রায় ঘোষণার আগেই খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে নিহতের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। রাজ্য সরকার সেই আবেদনের বিরোধিতা করে বিচারপতি দত্তের এজলাসে জানায়, তারা নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মামলা দায়ের করেছে। কাজেই বিচারপতি দত্তের আদালতে দায়ের হওয়া সিবিআই তদন্তের মামলা আর চলতে পারে না। রাজ্য সরকারের এই ব্যাখ্যা শুনে বিচারপতি দত্ত এর আগে মন্তব্য করেছিলেন, খুনের ঘটনার প্রকৃত তদন্ত চাওয়া হলে সেটা কেন রাজ্যের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, আদালত তা বুঝতে পারছে না। এ দিনও বিচারপতি মন্তব্য করেন, খুনের ঘটনার আরও তদন্ত হলে রাজ্য সরকারের অসুবিধা কোথায়, সেটা তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না।

এর আগের শুনানিতে বিচারপতি দত্ত সরকারি আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্রের কাছে জানতে চায়, তপনবাবুকে

যে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি করা হয়েছিল, তার ব্যালাস্টিক (বিস্ফোরক) রিপোর্ট রয়েছে কি না। সরকারি আইনজীবী এ দিন আদালতে জানান, সেই রিপোর্ট রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গুলি ছোড়া হয়েছিল একটি দেশি পিস্তল থেকে।

tapan dutta murder case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy