Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিতর্কিত বাংলা বই নিয়ে তদন্ত কমিটি

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই তুলে নেওয়ায় বিতর্ক চলছে নানা মহলে। এই পরিস্থিতিতে বইটি নিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার। স্কুলশিক্ষা সচিব অর্ণব রায়কে নিয়ে তৈরি ওই কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। তদন্ত কমিটির বিচার্যের মধ্যে আছে: কে বা কারা ওই বইয়ের ছাড়পত্র দিয়েছিলেন? ওই বইয়ে যা ছাপা হয়েছে, সেগুলিই বা কার নির্দেশ মেনে হয়েছে? এই সব দিক খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে কমিটি। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহের মধ্যে ওই বইয়ের সংশোধনী পরিশিষ্ট আকারে প্রকাশ করা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৪ ০৩:৫৫
Share: Save:

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই তুলে নেওয়ায় বিতর্ক চলছে নানা মহলে। এই পরিস্থিতিতে বইটি নিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার। স্কুলশিক্ষা সচিব অর্ণব রায়কে নিয়ে তৈরি ওই কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।

তদন্ত কমিটির বিচার্যের মধ্যে আছে: কে বা কারা ওই বইয়ের ছাড়পত্র দিয়েছিলেন? ওই বইয়ে যা ছাপা হয়েছে, সেগুলিই বা কার নির্দেশ মেনে হয়েছে? এই সব দিক খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে কমিটি। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহের মধ্যে ওই বইয়ের সংশোধনী পরিশিষ্ট আকারে প্রকাশ করা হবে। ছাত্রছাত্রীরা বিনামূল্যে সেই পরিশিষ্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সংশোধনী হাতে আসার আগে ‘বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি’ নামে ওই বইটি ক্লাসে না-পড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। দ্বাদশ শ্রেণির ওই পাঠ্যবইটি গত সপ্তাহে বাজার থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী জানান, বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে নানা রকম অভিযোগ ওঠায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমন সম্পর্কে বইটিতে বিস্তারিত ভাবে লেখা হয়েছে বলেই শাসক দলের একাংশ ক্ষুব্ধ। কারণ, কবীর সুমনের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক বহু দিন ধরেই তিক্ত। সুমন নিজেও বিভিন্ন সময়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।

অনেকের ধারণা, বই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সেই ক্ষোভেরই প্রকাশ। যদিও শিক্ষামন্ত্রী এ কথা মানতে রাজি নন। তাঁর দাবি, বইটিতে আরও অনেক রকম অসঙ্গতির অভিযোগ আছে।

এমনিতেই নতুন পাঠ্যক্রমে রচিত ওই বই বাজারে এসেছে দিন পনেরো আগে। পুজোর আগে প্রি-টেস্ট। প্রকল্প ও লেখা পরীক্ষা মিলিয়ে ওই বই থেকে ৪৩ নম্বরের প্রশ্ন আসার কথা উচ্চ মাধ্যমিকে। এই পরিস্থিতিতে বই এবং তার বিষয়বস্তু নিয়ে সরকারি মহলে বিতর্ক এবং তার জেরে বই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা বিভ্রান্ত। পার্থবাবু অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব বই-জট ছাড়িয়ে ফেলা হবে।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস, স্কুল পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার ও দফতরের কর্তাদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে তিনি তদন্ত কমিটি তৈরি করার কথা জানান। সেই সঙ্গেই বলেন, “বইটিতে কী কী পরিমার্জন দরকার, পাঠ্যক্রম কমিটি সপ্তাহখানেকের মধ্যে সেই বিষয়ে প্রস্তাব দেবে। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী একটি পরিশিষ্ট তৈরি করা হবে।” পাঠ্যক্রম কমিটি সূত্রের খবর, প্রয়োজনে গোটা বইটিই ঢেলে সাজতে পারে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

arnab roy 12th standerd bengali book
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE