অন্য রাজ্যে আপ-এর ক্ষেত্রে যা হচ্ছে, এ রাজ্যে তা-ই হল বিজেপি-তে! এক ঝাঁক প্রাক্তন আইপিএস এবং আইএএস বুধবার যোগ দিলেন নরেন্দ্র মোদীর দলে। কলকাতায় মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের আগে প্রাক্তন আমলা ও পুলিশ-কর্তাদের দলে পাওয়া তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়িয়ে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ।
তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা আইএএস বিক্রম সরকার কিছু দিন আগেই বিজেপি-তে নাম লিখিয়েছেন। তাঁর সঙ্গেই এ দিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন পুলিশ-কর্তা রঞ্জিত কুমার মোহান্তি, সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তা সুজিত ঘোষ, প্রাক্তন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব তথা নির্বাচন আধিকারিক এস কে মগন, প্রাক্তন শুল্ক আধিকারিক বিশ্বজিৎ দত্ত, প্রাক্তন রেল পুলিশ আধিকারিক আর এন দাস। নিজে উপস্থিত থাকতে না-পারলেও প্রাক্তন আইপিএস আর কে হান্ডাও বিজেপি-তে যোগদান করেছেন বলে এ দিন ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও, বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন কর্তা এস সি সাক্সেনা, প্রাক্তন প্রশাসনিক আধিকারিক পি তয়াল এবং শিল্প-কর্তা সুশীল অগ্রবাল। বিক্রমবাবু বলেছেন, “আমার বয়স ৭৫। মোদীর মতো এক জন তরুণ নেতার নেতৃত্বে কাজ করতে পারব, ভেবে ভাল লাগছে!” বিক্রমবাবুদের বক্তব্য, দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে জাতীয় দলগুলির হয়েই কাজ করা উচিত। ইউপিএ সরকার দু’দফায় ১০ বছর সুযোগ পেয়েছে। কী করেছে, সবাই দেখছেন। এ বার মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি-কে ফের সুযোগ দেওয়া উচিত।
প্রাক্তন আমলা ও পুলিশ-কর্তাদের দলে পেয়ে উজ্জীবিত বিজেপি আরও জোর কদমে মোদীর ব্রিগেড সফল করতে নামছে। রাহুলবাবু জানিয়েছেন, মোদীর সভায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইন নাম নথিভুক্ত হয়েছে ১৮ হাজারেরও বেশি। যাঁরা নাম লেখানোর সময় আর্থিক অনুদান দিয়েছেন এবং যাঁরা দেননি, সকলের জন্যই ব্রিগেড ময়দানে চেয়ার থাকবে। মোদীর সভার প্রচারের জন্য কিছু অভিনব কৌশলও ব্যবহার করছে বিজেপি। রাহুলবাবুর কথায়, “১ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় শ’য়ে শ’য়ে মোদীর মুখোশধারী ঘুরবেন। দলীয় দফতর থেকে ২ তারিখ ‘ভারতের মুখ’ শোভাযাত্রা বেরোবে। সেখানে থাকবেন মোদীর মুখোশ-পরা হাজার হাজার মানুষ।” তাঁর আরও দাবি, অন্য সব ব্রিগেড সমাবেশে সেই দলের কর্মী-সমর্থকেরা আসবেন। মোদীর ব্রিগেডই হবে প্রথম, যেখানে সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় যোগ দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy