বছরভর সেচের জলের জোগান দিতে নতুন এক প্রকল্প নিল রাজ্য। রবিবার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ‘জলতীর্থ’ নামে নতুন এই প্রকল্পের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে চেক ড্যাম তৈরি করে ক্ষুদ্র সেচের জন্য বিভিন্ন জলাশয়ের জল এবং বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হবে। প্রাথমিক ভাবে রাঢ়বঙ্গের চার শুখা জেলা বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রকল্পটি রূপায়িত হবে। এর ফলে ভূমিক্ষয় রোধ হবে, কৃষিক্ষেত্রে ফলন বাড়বে, হাঁস-মুরগি প্রতিপালনেও সুবিধা হবে।
শুখা মরসুমে জল সেচের জোগান দিতে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই ‘জল ধরো-জল ভরো’ প্রকল্প শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার জলতীর্থ প্রকল্প রূপায়িত হলে কৃষিক্ষেত্রে জল সেচের সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশা।
প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পে চেক ড্যাম, ক্ষুদ্র সেচের প্রায় ৮০০টি কাঠামো তৈরি করা হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচশো কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, প্রকল্প রূপায়িত হলে প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর চাষজমিতে সেচের সুবিধা মিলবে। উপকৃত হবেন প্রায় ৬৪ হাজার কৃষক। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাষিদের জন্য প্রতি দিন ভাবেন। তারই প্রমাণ এই প্রকল্প।’’