Advertisement
E-Paper

সারদায় এ বার ইডি-র তলব রাজ্যের মন্ত্রীকে

সারদা তদন্তে যে দিন সকাল থেকে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাল সিবিআই, সে দিনই রাতে ইডি-এর (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) চিঠি পেলেন রাজ্যের বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়। সুদীপ্ত সেনকে সিমেন্ট কারখানা বিক্রি করা নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রের খবর। সেই জন্য আগামী সোমবার মন্ত্রীকে কলকাতা অফিসে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৪ ০৪:০৫

সারদা তদন্তে যে দিন সকাল থেকে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাল সিবিআই, সে দিনই রাতে ইডি-এর (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) চিঠি পেলেন রাজ্যের বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়। সুদীপ্ত সেনকে সিমেন্ট কারখানা বিক্রি করা নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রের খবর। সেই জন্য আগামী সোমবার মন্ত্রীকে কলকাতা অফিসে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

সারদা-কাণ্ডে এর আগে তৃণমূলের সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তবে এই প্রথম তারা রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে তলব করল।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই চিঠি পেয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী বলেন, “দেখি, কোথাকার জল কোথায় গড়ায়! সিমেন্ট কারখানাটা পাঁচ বছর আগে সারদা গোষ্ঠীকে বিক্রি করে দিই। এ বার সেই কারখানার কাগজ ও ৫ বছর আগের আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চেয়েছে ইডি।”

শ্যামাপদবাবু শুধু রাজ্যের মন্ত্রীই নন, তিনি বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যানও। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের কাছে ধবনীতে ২০০৬ সালে সিমেন্ট কারখানা গড়তে জমি কিনেছিলেন তিনি। পাঁচিল তুলে কারখানা চালু করতে লেগে গিয়েছিল আরও বছর দেড়েক। উৎপাদন শুরু হলেও কারখানা লোকসানেই চলছিল। প্রথম বছরেই লোকসান হয় ৪৫ হাজার টাকা। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৮ লক্ষে। সারদা-কাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে এলে মন্ত্রী জানান, কারখানার মালিকানা তাঁর একার ছিল না। স্থানীয় সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, কারখানা চালুর পর থেকেই সারদা গোষ্ঠীর কর্তাদের সেখানে যাতায়াত ছিল। শাসকদলের বাঁকুড়া জেলার এক নেতার কথায়, “প্রথম থেকেই শ্যামবাবুর সঙ্গে কারখানার যৌথ মালিকানা ছিল সারদা গোষ্ঠীর। পরে সুদীপ্ত সেন তা কেনেন।” মন্ত্রী তা মানতে চাননি। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানান, কারখানাটি শ্যামাপদবাবুর পারিবারিক মালিকানায় ছিল।

“দেখি, কোথাকার জল কোথায় গড়ায়!”
শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায় (বস্ত্রমন্ত্রী)

শ্যামবাবুর বক্তব্য, তিনি ২০০৯ সালে ‘ল্যান্ডমার্ক সিমেন্ট’ নামে ওই কারখানাটি সারদা গোষ্ঠীর কাছে বেচে দেন। নাম বদলে হয় ‘সারদা ল্যান্ডমার্ক’। তার পরেও লাভের মুখ দেখেনি এই সংস্থা। এখন তদন্তকারীদের প্রশ্ন, সমানে লোকসানে চলা ওই কারখানা সারদা গোষ্ঠী কিনল কেন?

মন্ত্রীর দাবি, তিনি ইডি-কে জানিয়েছেন, ৫ বছর আগে বিক্রি করে দেওয়া ওই সিমেন্ট কারখানার কাগজ কোথায় আছে তা খুঁজতে হবে। ইডি সোমবার তাঁকে কলকাতায় দেখা করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে তিনি সে দিনই যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। মন্ত্রী বলেন, “ওই সব কাগজ যে গুছিয়ে রাখতে হবে, তা জানব কী করে? খুঁজে দেখতে হবে। ইডি-র কাছে তাই সময় চেয়েছি।”

saradha scam ed minister
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy