অস্কার লি
প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের লাইনটা ঘণ্টা খানেক দাঁড়িয়েছিল বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। কারও মাথায় ছাতা। কারও গায়ে বর্ষাতি। সবার একই উদ্বেগ, কার স্টেম সেল মিলতে পারে পাঁচ বছরের অস্কারের সঙ্গে। যে স্টেম সেল বাঁচাতে পারে ব্লাড ক্যানসার আক্রান্ত খুদেকে।
ওস্টারের বাসিন্দা অস্কার লি-র জন্য এই উদ্যোগটা নিয়েছিল তার স্কুলই। চিকিৎসকেরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, হাতে আর মাত্র ৩ মাস। তার মধ্যেই খুঁজে বার করতে হবে ডোনারকে (দাতা)। যার থেকে স্টেম সেল সংগ্রহ চিকিৎসা হবে ওই শিশুর। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই গত সপ্তাহে তার স্কুলের বাইরে জড়ো হয়েছিল হাজার পাঁচেক মানুষ।
গত ডিসেম্বরে প্রথম অস্কারের গায়ের লাল দাগগুলো নজরে পড়ে তার বাবা-মায়ের। কিছু দিনের মধ্যেই জানতে পারেন, ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত তাঁদের সন্তান। তবে তত দিনে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। শুরু হয় লড়াই। এর মধ্যেই ২০ বার ব্লাড ট্রান্সফিউশনস এবং চার সপ্তাহ কেমোথেরাপি হয়ে গিয়েছে খুদের। অস্কারের স্কুলের এক শিক্ষিকা কেট উইলকের কথায়, ‘‘হাসিখুশি একটা ছোট্ট বাচ্চা... আমাদের কাছে এই খবরটা দুঃস্বপ্নের মতো। আমরা এখন ওর জন্য এক জন ডোনার খুঁজছি।’’ যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, স্টেম সেলে মিল খুঁজে পাওয়া বেশ শক্ত। অনেকটা লটারি জেতার মতো!
অস্কারের জন্য স্টেম সেল ডোনার চেয়ে আবেদন ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে সাড়া দিয়েই ছুটে আসেন হাজার হাজার মানুষ। গত সপ্তাহে শনি-রবিবার স্কুলের দু’টি হলেই বসছিল ক্যাম্প। ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবীর সাহায্যে নাম লিখিয়ে স্টেম সেল দান করেছেন। কেটের কথায়, ‘‘দূর-দূরান্ত থেকে লোক এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়া কী ভাবে বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারে এটা তার প্রমাণ। এ ভাবে শুধু অস্কার নয়, বহু শিশুর জীবন বাঁচতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy