ফিরে দেখা যাক দুনিয়ার কয়েকটি ভয়ানক বিপর্যয়

টাকোমা ওয়াশিংটন ব্রিজ। ১৬০০ মিটার দীর্ঘ এই জো়ড়া ব্রিজের একটি পরিচিত ছিল গ্যালোপিং গার্টি নামে।<br> ১৯৪০ ১ জুলাই এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর চার মাস পরেই তা ভেঙে পড়ে। ক্যামেরাবন্দি সে দৃশ্যে দেখা যায়, হাওয়ার দাপটে রীতিমতো দুলছে সেই ব্রিজ।<br> আশ্চর্যজনক ভাবে ওই দুর্ঘটনায় একটি ব্ল্যাক ককার স্প্যানিয়েল কুকুর ছাড়া আর কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।

হায়াত রিজেন্সি হোটেল ওয়াকাওয়েতে ধস।<br> ১৭ জুলাই ১৯৮১-তে মিসৌরির কানসাস শহরে একটি টি-ডান্সের অনুষ্ঠানে এই বিপর্যয় ঘটে। <br>চারতলার ওই বিল্ডিংয়ে টি-ডান্সে প্রতিযোগী-সহ হাজার দুয়েক দর্শক জড়ো হয়েছিলেন।<br> কয়েকটি ব্রিজের মাধ্যমে ওই চারতলা বিল্ডিংয়ে যাতায়াত করা যেত। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ অনুষ্ঠান চলাকালীন চারতলা ও দোতলার কড়িকাঠ হড়ুমুড়িয়ে ভেঙে লবিতে এসে পড়ে।<br> ওই ঘটনায় ১১৫ জনের প্রাণহানির পাশাপাশি আহত হন দু’শোর বেশি মানুষ।

চেরনোবিল পারমানবিক দুর্ঘটনা। ২৬ এপ্রিল ১৯৮৬ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত চেরনোবিল লিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে এই বিপর্যয় ঘটে।<br> ওই প্লান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বের হতে থাকে। হাওয়ার দাপটে তা ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপের তেরোটি দেশে। তেজস্ক্রিয়তার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হন ৬ লক্ষ মানুষ।<br> তার মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রায় ৪ হাজার মানুষ।

সেন্ট ফ্রান্সিস বাঁধের বন্যা। ১২ মার্চ ১৯২৮-এ এই বিপর্যয় ঘটে।<br> উইলিয়াম মুলহোলান্ডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত সেন্ট ফ্রান্সিস বাঁধ তৈরির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ভেঙে পড়ে।<br> কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলসের উত্তর দিকের সান্টা ক্ল্যারিটা ভ্যালিতে নেমে আসে ১২৫০ কোটি গ্যালন জলের বন্যা। দশতলা সমান উঁচু জলের তোড়ে ভেসে যায় সান্টা ক্লারা নদী।<br> ২০ ফুটে কাদা-আবর্জনায় ডুবে যায় সান্টা পলা শহর।<br> ভেনচুরা কাউন্টির ৭০ ফুট ডুবে যায়। ওই বিপর্যয়ে মারা যান ৪৫০ জল।