বিস্ফোরণে আহত শিশুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। ছবি: এপি।
ফের আত্মঘাতী হামলা পাকিস্তানে। এ বারের ঘটনাস্থল খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের চারসাদ্দা জেলার একটি আদালত চত্বর।
গত সপ্তাহে লাহৌর ও সিন্ধুপ্রদেশের সেহওয়ানে জঙ্গি হামলার জেরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে জঙ্গিরা যে দমে যায়নি, আজ তারই প্রমাণ মিলল চারসাদ্দার টাঙ্গি শহরতলির এক দায়রা আদালতে। হামলায় তিন আত্মঘাতী জঙ্গি-সহ নিহত হয়েছেন ১০ জন। আহত প্রায় ১৫ জন। ঘটনার দায় নিয়েছে তালিবানের শাখা সংগঠন জামাত-উল-অহরর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত এ দিন সকালে। টাঙ্গি শহরতলির ওই আদালতে তখন কাজকর্ম শুরু হয়ে গিয়েছিল। আদালত চত্বরের মূল ফটক দিয়ে ঢোকে তিন জঙ্গি। প্রত্যেকের গায়েই বিস্ফোরকে ঠাসা জ্যাকেট। এলোপাথাড়ি গুলি চালায় প্রথম জন। দ্বিতীয় জন শুরু করে গ্রেনেড ছোড়া। কিন্তু বিস্ফোরণ ঘটানোর আগেই তারা নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়। পরিস্থিতি দেখে নিজেকে উড়িয়ে দেয় তৃতীয় জন। কড়া নিরাপত্তার জন্য জঙ্গিরা ভিতর ঢুকতে পারেনি।
আরও পড়ুন: হাফিজকে বিপজ্জনক মেনে বিপাকে আসিফ
গত সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার পর্ব। সোমবার লাহৌরের পঞ্জাব প্রাদেশিক আইনসভার বাইরে একটি মিছিলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। তাতে প্রাণ গিয়েছিল দুই পুলিশ কর্তা-সহ ১৬ জনের। এর চার ঘণ্টা পরেই বালুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটায় আইইডি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে নিহত হন বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের দুই কর্মী। এর পর বৃহস্পতিবার সিন্ধুপ্রদেশের সেহওয়ানের সুফি দরগায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন ৯০ জন। দরগায় হামলার পরেই পাক সেনা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে গতি আনে। আফগানিস্তানেও জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হানা দেয় তারা। পাকিস্তানের দাবি, আফগান শিবির থেকেই জঙ্গিরা পাকিস্তানে হানা দিচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy