বেশ ভাল ভাবেই শুরু হয়েছিল শো। কিন্তু শেষটা তত মধুর হল না!
গত কাল একটি চ্যানেলে জনপ্রিয় চ্যাট শোয়ে হাজির হয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। সঙ্গে স্বামী ফিলিপ। আড্ডার মধ্যে উঠে এসেছিল তাঁদের ঘরকন্নার কথা। কী ভাবে দু’জনে সংসারের দায়-দায়িত্ব ভাগ করে নেন, ভক্তদের সামনে সেই গল্প তুলে ধরতেই শুরু হয় বিতর্ক।
সংসারের দায়িত্ব সামলে কী ভাবে দেশের ভার সামলাচ্ছেন টেরেসা? আর স্বামী হিসেবে কী ভাবেই বা সাহায্য করেন ফিলিপ? এর জবাবে টেরেসা বলেন, ‘‘আমাদের সংসারে ছেলে আর মেয়েদের কাজ ভাগ করা রয়েছে।’’ স্ত্রী-কে সমর্থন করে ফিলিপ বলেন, ‘‘সংসারে যেগুলো ছেলেদের কাজ, সেগুলোই আমিই করে থাকি।’’
এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। টুইটারকে হাতিয়ার করে তাঁদের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে থাকেন দর্শকরা। স্কটিশ লেবার পার্টির নেত্রী কেজিয়া ডুগডেল টুইট করেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বাড়িতে ছেলে আর মেয়েদের কাজ আলাদা। শুনে আমি খুবই হতাশ।’’ শুধু তিনিই নন, টেরেসার মন্তব্যকে লিঙ্গবৈষম্যমূলক বলে সরব হয়েছেন আরও অনেকেই। ওই চ্যাট শোয়ে সে ভাবে রাজনৈতিক কোনও বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। বরং ব্যক্তিগত জীবনের কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেই চলে সাক্ষাৎকার। তাই তা দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়।
সে দিন টেরেসা-ফিলিপের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন সঞ্চালক ম্যাট বেকার এবং অ্যালেক্স জোনস। আড্ডায় উঠে এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর সুখী গৃহকোণের গল্প। হাল্কা মেজাজেই ছিলেন সকলে। কবে থেকে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন, তা নিয়ে কখনওই মুখ খুলতে দেখা যায়নি টেরেসাকে। কিন্তু ওই শোয়ে সেই গল্পটা বলেন ফিলিপই। জানান, স্কুলে পড়ার সময় থেকেই দেশের সেবা করার কথা ভাবতেন টেরেসা। এর পর এমপি হওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy