কাঁটার মুকুটে আপত্তি। শেষমেশ তাই রফাতেই রাজি হয়ে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প!
আড়াই কোটি ডলারের বিনিময়ে ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে চলতে থাকা তিনটি প্রতারণা মামলার নিষ্পত্তি চাইলেন ‘প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট’। ট্রাম্পের অফিস সূত্রের খবর— অতীতের ‘ছুটকো ঝামেলা’ নয়, হবু-প্রেসিডেন্ট এখন শুধুই দেশের কথা ভাবছেন। সরকারি ভাবে হোয়াইট হাউসের ক্ষমতা বুঝে নেওয়ার আর ঠিক দু’মাস বাকি। ঠিক সেই কারণেই ট্রাম্পের এমন তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন মার্কিন রাজনীতিকদের একাংশ। রফায় রাজি হলেও, ট্রাম্প কিন্তু একটি মামলাতেও নিজের অপরাধ স্বীকার করেননি। চাননি ক্ষমাও।
বছর পাঁচেক আগেই তালা পড়েছে ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন পড়ুয়ারা। দু’টি ক্যালিফোর্নিয়ায় (২০১০), আর একটি নিউ ইয়র্কে (২০১৩)। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাবদ পড়ুয়াদের থেকে মাথাপিছু ৩৫ হাজার ডলার করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতিশ্রতি মোতাবেক কিছুই শেখানো হয়নি সেখানে। কর্তৃপক্ষ নজর দেননি কর্মসংস্থানেও।
ট্রাম্প যদিও বরবারই এই অভিযোগ উড়িয়ে এসেছেন। সুযোগ থাকলেও আদালতের বাইরে রফায় রাজি হননি এর আগে।
বিশ্ববিদ্যালয়ও বলে আসছিল, ব্যর্থ পড়ুয়াদের একাংশই মিথ্যে মামলায় লাভবান হতে চাইছে। ট্রাম্প তা হলে রাতারাতি এ ভাবে ঢোক গিলতে বাধ্য হলেন কেন? রাজনীতিকদের দাবি, প্রেসিডেন্টের আসনে বসার আগে যত বেশি সম্ভব বিতর্ক থেকে দূরে সরে থাকতে চাইছেন তিনি। তাই এই সিদ্ধান্ত। নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক স্নেইডারম্যান এই রফার বিষয়টিকে ‘ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিরাট জয়’ হিসেবেই দেখছেন। চাপে পড়েই ট্রাম্প পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy