সরকারি ভাবে সোমবারও তাঁর কোনও খবর নেই। তবু কোথাও যেন একটা আশার আলো দেখছে জুডিথ ডিসুজার পরিবার। সেই পরিস্থিতিতেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন ডিসুজা পরিবারের সদস্যরা।
কাবুলের রাস্তা থেকে জুডিথ অপহৃত হয়েছেন জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁর এন্টালির বাড়িতে খবর এসেছিল। খবর পাঠিয়েছিল কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস। সেই উৎকন্ঠার মধ্যেই সোমবার যেমন কলকাতা, তেমনই কাবুল থেকে শোনা গিয়েছে আশার কথা। এ দিন বিকেলে কাবুল থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে সেখানকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মনপ্রীত ভোরার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘তদন্তের ফলাফল জানার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’’
তবে কি জুডিথের হদিস পাওয়া গিয়েছে?
রাষ্ট্রদূত সরাসরি এই প্রশ্নের জবাব দেননি। তবে জানান, কাবুল পুলিশের তরফ থেকে যে অফিসারেরা তদন্তের কাজ চালাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে দূতাবাসের অফিসাররা যোগাযোগ রাখছেন। তা হলে কি সদর্থক কিছু পাওয়া গিয়েছে? মনপ্রীতের কথায়, ‘‘এতটা এগিয়ে এখনই বলা ঠিক নয়। আমরা অপেক্ষা করছি।’’
প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জুডিথের পরিবারও। তাঁর দাদা জেরোম ডিসুজা এ দিন বলেন, ‘‘সদর্থক কিছু হবে বলেই আমরা আশা করছি।’’ এর বেশি অবশ্য আর কিছু কেউই বলতে চাইছেন না। তবে এ দিন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে ডিসুজা পরিবার। জুডিথকে ফেরাতে ‘‘সর্বশক্তি’’ ব্যবহার করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছে তারা। চিঠির প্রতিলিপি বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকেও পাঠানো হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, জুডিথ যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করতেন তাদের মাধ্যমেই অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ৩০টিরও বেশি দেশে সক্রিয় সংস্থাটির রাজনৈতিক প্রভাবও বিপুল।
জুডিথের বাড়ির সামনে সংবাদমাধ্যমের সেই ভিড়টা এ দিনও একই রকম ছিল। মাঝে জেরোম বেরিয়ে এসে কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। সেই সময় তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, গভীর চিন্তা আর উদ্বেগ যেন কিছুটা কম। আনন্দবাজারের সঙ্গে এ দিন ফোনে কথা হয়েছে জুডিথের বাবা ডেনজিল ডিসুজারও। শান্ত কন্ঠে তিনি জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও খবর আসেনি। তবু তাঁরা সবাই আশা নিয়ে বসে রয়েছেন।
জুডিথকে খোঁজার জন্য যে ভাবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আফগান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, তাতে তাঁরা খুব খুশি বলে জানিয়েছেন জেরোম। জানান, তাঁর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বিদেশ মন্ত্রকের অফিসাররা। জেরোমের কথায়, ‘‘এই ধরনের দেশে, যেখানে নিরাপত্তা নিয়ে সব সময়ে দুশ্চিন্তা থাকে— সেখানে যে ভাবে পুলিশ তদন্তে নেমেছে, তাতে প্রশংসা করতেই হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy