আগ বাড়িয়ে তিনি নিজেই ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছিলেন। দেশের সেনাবাহিনীকে এক মাসের মধ্যে পোক্ত স্ট্র্যাটেজি তৈরির নির্দেশও দিয়েছিলেন। দামামা বাজিয়ে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আপাতত আদালতের চক্কর কাটছেন। আর শত্রুপক্ষ ইরাকি শহর মসুলে খানিকটা পিছু হটলেও, সিরিয়ার ফের জমিয়ে বসেছে আইএস।
ট্রাম্পের আমেরিকাকে তাই তড়িঘড়ি আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার ডাক দিল ফ্রান্স ও ব্রিটেন। আমেরিকার সদ্য-প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলেই আইএস-দমনে একজোট হয়েছিল ৬৮টি দেশ। যার নেতৃত্বে এখনও আমেরিকাই। অথচ অভিযোগ, ইদানীং ট্রাম্পের তরফে তেমন সাড়া মিলছে না। নিজের দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে চেয়েই সম্প্রতি সাতটি মুসলিম দেশের মুখের উপর দরজা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ঘর সামলানোর চেয়েও এখন শত্রুর ঘাঁটিতে গিয়ে হামলা করাটা বেশি জরুরি বলে মনে করছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য।
আরও পড়ুন: মাসুদ নিয়ে ট্রাম্পের চাপে ভেটো চিনের
গত কালই এর রূপরেখা তৈরিতে বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন চিন্তিত কর্তারা। ফরাসি রাষ্ট্রদূত যেমন বলেই বসলেন, ‘‘মসুল পুনর্দখলে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ইরাকি সেনার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। সেখানে সমস্যা মিটেছে। কিন্তু সিরীয় শহর রাকায় ফের দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আইএস।’’ একই যুক্তি দিয়ে আমেরিকাকে আইএস-যুদ্ধে নামার ডাক দিয়েছে জোটসঙ্গী ব্রিটেনও। হোয়াইট হাউস অবশ্য জানিয়েছে, কট্টরপন্থী ইসলামি জঙ্গিদের শায়েস্তা করতে ট্রাম্প নিজেই এক পায়ে খাড়া। শুধু অপেক্ষায় রয়েছেন— মোক্ষম সময়ের।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পে আপত্তি, বিতর্কে ব্রিটিশ স্পিকার
আমেরিকা যদিও এই ‘দুর্বল’ আইএসের তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাদের দাবি, মসুল নিয়ে এতটাও নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আজই পেন্টাগন জানিয়েছে—জঙ্গিরা মসুল ইউনিভার্সিটিতে বসেই বিপুল রাসায়নিক অস্ত্রের ভাঁড়ার তৈরি করেছিল। তার কিছুটা কব্জা করা গেলেও, অনেকটাই পাচার হয়ে গিয়েছে অন্যত্র। শহরের পশ্চিমাংশে এখনও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে আইএস। আর নিত্য-নতুন ফিকির খুঁজছে, কী ভাবে সামলানো যায় ভাঁড়ারে টান!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy