ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গ ছাড়ার নীল নকশা প্রকাশ করল ব্রিটেনের টেরেসা মে সরকার।
পার্লামেন্টের সম্মতি ছাড়া এই বিচ্ছেদের পথে (ব্রেক্সিট) এগোনো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট। পার্লামেন্টে ইতিমধ্যেই বিপুল ভোটে পাশ হয়েছে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিজ্ঞপ্তি বিল’। ফলে লিসবন চুক্তির ৩৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পেরেছেন টেরেসা। এই প্রক্রিয়ার বিবরণ নিয়েই আজ শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে সরকার।
সম্প্রতি ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে একটি বক্তৃতায় মোটের উপরে ব্রেক্সিটের নীল নকশা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মে। সেই বক্তৃতাতেই উল্লেখ করা ১২টি মূল বিষয় নিয়ে শ্বেতপত্র পার্লামেন্টে পেশ করেছেন মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস। শ্বেতপত্রের গোড়ায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সাফল্যের আশা নিয়েই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদের দর কষাকষি শুরু করছে সরকার।
শ্বেতপত্র অনুযায়ী, ‘ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস’-এর বিচার আর ব্রিটেনে চলবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় যে সব আইন মেনে চলতে হতো সেগুলি এ বার ব্রিটিশ আইন হিসেবে গণ্য হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত অন্য দেশের যে সব নাগরিক ব্রিটেনে থাকেন তাঁদের অবশ্য এখনই বহিষ্কার করার পরিকল্পনা সরকারের নেই।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অঙ্গ হিসেবে মহাদেশের অভিন্ন বাজারের অঙ্গ ছিল ব্রিটেন। ব্রেক্সিটের পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে শুল্কহীন বাণিজ্যের নয়া চুক্তি করতে চায় সরকার। ব্যবসায়ী সংস্থা ও নাগরিকদের নয়া অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিতে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া চালু করা হবে।
বিচ্ছেদের চূড়ান্ত চুক্তি (দ্য গ্রেট রিপিল বিল) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টে পেশ করবে সরকার। তার আগে বিচ্ছেদের শর্ত নিয়ে সরকারকে বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের মুখে ফেলতে তৈরি হচ্ছে বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy