—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বছরে এক বার উমা তাঁর চার ছেলেমেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি আসেন। মেয়েকে বরণ করতে তাই যেন আয়োজনের কমতি নেই মেক্সিকোর কেরেতারোর বাঙালিদের। কেরেতারোয় এই নিয়ে দ্বিতীয় বার দুর্গাপুজোর আয়োজন করছে ‘কেরেতারো সার্বজনীন’। সমস্ত নিয়ম মেনেই এক দিনে অনুষ্ঠিত হবে পুজো।
পুজোর দু’মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল জোর প্রস্তুতি। চিত্রশিল্পী কমলেশ দাসের প্রতিমা বানানোর হাতেখড়ি গত বছরের দুর্গাপ্রতিমা তৈরির মধ্য দিয়ে। গত বছরের কাগজ এবং কার্ডবোর্ড দিয়ে বানানো প্রতিমা প্রশংসিত হয়েছিল। এ বারের প্রতিমা তৈরী হচ্ছে সিমেন্ট দিয়ে। এই পুজোর বৈশিষ্ট্য বন্ধুবৎসল মেক্সিকান এবং বাঙালির ‘সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন’। বাংলার মেয়ে ঝলমলে শাড়ি গহনায় সজ্জিত হলেও বাহন অলংকরণে থাকছে মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্প ‘আর্টিসানিয়া’। মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে শোলার কারুকার্য। এতে বাংলার আবহমান প্রকৃতির সাথে থাকবে কেরেতারো শহরের নিদর্শন ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ‘লস আর্কোস’।
কেরেতারোয় এই একটি পুজো। মূলত বাঙালিদের আয়োজনে পুজো হলেও, এতে শামিল হন মেক্সিকোর নানা শহরে অবস্থানরত ভারতীয় এবং মেক্সিকানরা। তা ছাড়া, ভারত এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy