বছর পঁচিশের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক উবের ট্যাক্সি চালকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, অমৃতপাল নামের ওই চালক পলাতক।
অভিযোগকারিণীর বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ইয়ং স্ট্রিট থেকে লরেন্স অ্যাভিনিউয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য উবের ট্যাক্সিতে চড়েন ওই তরুণী। অভিযোগ, রাত একটা নাগাদ ট্যাক্সিতেই তাঁর উপর চড়াও হয় চালক। দাবি, মারধর করে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে জানান তরুণী। ছোটখাটো চোট-আঘাতের দাগও মিলেছে তরুণীর দেহে।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে অমৃতপালের পদবি জানা যায়নি। তার বয়স ২৬ থেকে ৩০-এর মধ্যে। মাথায় স্পাইক করা ছোট চুল, চিবুকে দাড়ি আছে। শহরবাসীর কাছে সাহায্য চেয়ে তার ছবি আঁকিয়ে নানা জায়গায় সাঁটা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উবের সংস্থার মুখপাত্র জেভিয়ার ভ্যান চাউ জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চালকের তালিকা থেকে অমৃতপালের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। পুলিশি তদন্তে সব রকম সাহায্য করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু তা সত্ত্বেও বুধবার টরন্টোর ‘লাইসেন্সিং অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড কমিটি’-র তরফে শহরে উবেরকে নিয়মিত পরিবহণ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি বাতিল করা হয়েছে।
ঘটনার পর স্বভাবতই ফের প্রশ্ন উঠে গেল এই সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উবের সংস্থার একাধিক চালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠছে গত বছর থেকেই। গত বছরের ডিসেম্বরে ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে শিকাগোয় দু’জন উবের চালকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। গত বছর নয়াদিল্লিতে উবের ট্যাক্সিতে এক তরুণী ধর্ষিত হওয়ার পরে ট্যাক্সিতে ‘প্যানিক’ বোতাম লাগাতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
মে মাসে কানাডারই অন্য শহর মিসিসাগুয়ায় ওসামা আল-মন্ডলাবি নামে পঁচিশ বছরের এক উবের চালকের বিরুদ্ধে অভিযাগ ওঠে যৌন হেনস্থার।
সব মিলিয়ে টরন্টোর উবের-পরিচালন এখন বিশ-বাঁও জলে। শহরের বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই টানাপড়েন চলছে টরন্টোর রাজনীতিতে। উবেরকে নিয়মিত পরিবহণ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি উঠেছিল এই প্রসঙ্গে। কিন্তু সাম্প্রতিকতম ঘটনাটি সে দাবিতে জল ঢেলে দিল আপাতত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy