Islamic State Khorasan (IS-K) is a branch of the terror group that first emerged in Syria
URL Copied
আন্তর্জাতিক
Islamic State Khorasan: বিশ্বের নৃশংসতম জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-কে এ বার আফগানিস্তানে, কারা এই ‘খোরাসানি’
২৯ অগস্ট ২০২১ ১১:০৯
Advertisement
১ / ১২
ইসলামিক স্টেট-খোরাসান। সংক্ষেপে আইএস-কে। কাবুল বিমানবন্দরে হামলার জেরে আলোচনায় চলে এসেছে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম। আদতে এরা পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর আফগান শাখা।
২ / ১২
বর্তমান পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের একাংশ নিয়ে ছিল প্রাচীন খোরাসান অঞ্চল। আইএস-এর আফগান শাখা ওই অঞ্চলকে তাদের নামে জুড়ে নিয়েছে।
Advertisement
Advertisement
৩ / ১২
প্রায় দু’দশক আগে আইএস-এর প্রতিষ্ঠা করেন আল কায়দার ইরাকি শাখার প্রধান আবু মুসাব আল জারকোয়াই। সে সময় সংগঠনের নাম ছিল ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড লেভান্ত (আইএসআইএল)।
৪ / ১২
তুরস্ক, সিরিয়া, জর্ডন, লেবানন, সাইপ্রাস, প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলের একাংশ নিয়ে গঠিত ছিল প্রাচীন লেভান্ত ভূখণ্ড। পরে সাময়িক ভাবে সংগঠনের নাম হয় ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)।
Advertisement
৫ / ১২
গত কয়েক বছরে একাধিক বার আফগানিস্তানে নানা নাশকতায় আইএস-কের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি, তালিবান ঘাঁটিতেও আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা। মূল সংগঠন আইএস-এর মতোই তাদের লক্ষ্য খিলাফতের (খলিফার শাসন) পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
৬ / ১২
পাক সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের নানগরহর, নুরিস্তান, কুনার প্রদেশ আইএস-কের ঘাঁটি। রাজধানী জালালাবাদ-সহ নানগরহরের বেশ কিছু এলাকাতেই শিবির রয়েছে তাদের। এখানেই হানা দিয়েছে আমেরিকার ড্রোন।
৭ / ১২
একদা পাশতুন ‘ওয়ারলর্ড’ গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের নিয়ন্ত্রণে ছিল নানগরহর। পরে তালিবানের দখলে যায়। এখানে সক্রিয় আইএস-কে গোষ্ঠীতে পাশতুনের পাশাপাশি আরব, পাক, উইঘুর এবং মধ্য এশিয়ার জঙ্গিরাও রয়েছে।
৮ / ১২
২০১৪-য় পাক তালিবান নেতা হাফিজ সইদ খান আইএস-কে গঠন করেন। তৎকালীন আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির অনুগামী হাফিজ ২০১৬-য় আমেরিকার বিমান হানায় নিহত হন। বাগদাদির মৃত্যু ২০১৯-এ সিরিয়ায়। আমেরিকার সেনার হামলায়।
৯ / ১২
২০১৫ সালে আফগানিস্তানে আইএস-কের প্রায় তিন হাজার জঙ্গি ছিল। তাদের বড় অংশই প্রাক্তন তালিবান। আমেরিকার সাহায্যে তাদের দমন করতে অভিযানে নামে আফগান সরকার। তাতে সাফল্যও মিলেছিল।
১০ / ১২
ওসামা বিন লাদেনের জমানায় আল কায়দার সঙ্গে সখ্য ছিল আইএস-এর। পরবর্তী আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরির সময় দুই সংগঠনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। আল কায়দা ঘনিষ্ঠ তালিবানেরও বিরোধিতা শুরু করে আইএস।
১১ / ১২
তালিবান এবং আইএস দু’টি সংগঠনই সুন্নি মুসলিম সংগঠন। কিন্তু তালিবান ইসলামের দেওবন্দি মতাদর্শের অনুসারি। আইএস অনুসরণ করে সালাফি মতবাদকে। সুফি মতবাদের কট্টর বিরোধী তারা।
১২ / ১২
নৃশংসতায় তালিবানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে আইএস। তালিবান সংগঠনে মহিলারা না থাকলেও পশ্চিম এশিয়ায় আইএস যোদ্ধাদের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন মহিলা জিহাদিরা।