Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Oxford University

জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ, অক্সফোর্ডের ছাত্র সংসদ সভাপতির পদ থেকে সরানো হল ভারতীয় তরুণীকে

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে থাকায় শেষমেশ রেশমিকে ওই পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়।

রেশমি সমন্ত। ছবি: সংগৃহীত।

রেশমি সমন্ত। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
ইংল্যান্ড শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২১ ১০:০২
Share: Save:

‘জাতিবিদ্বেষ’মূলক মন্তব্য করার অভিযোগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই সরে যেতে বাধ্য করা হল কর্নাটকের এক তরুণীকে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন রেশমি সমন্ত। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ‘জাতিবিদ্বেষ’মূলক মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। নেটমাধ্যমে রেশমির পোস্ট করা পুরনো সেই লেখাকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষোভ ছড়ায়। অবিলম্বে তাঁকে সভাপতির পদ থেকে সরানোর দাবি ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে থাকায় শেষমেশ রেশমিকে ওই পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট বলা হয়েছে, এ বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠিও দিয়েছেন রেশমি। সেখানে তিনি জানান, কারও ভাবাবেগে আঘাত করার প্রবণতা নিয়ে এই লেখা তিনি লেখেননি। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ডের ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন রেশমি। দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের ক্যাম্পেন ফর রেসিয়াল অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড ইকুয়ালিটি(সিআরএই) এবং এলজিবিটিকিউ। তাদের অভিযোগ, বেশ কিছু সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করে নেটমাধ্যমে লিখেছেন রেশমি। অতএব তাঁকে সভাপতির পদে আর বরদাস্ত করা হবে না।

রেশমির বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “যাঁরা আমার বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছেন, তাঁদের আমি একটাই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চাই। যে পুরনো পোস্ট নিয়ে তাঁরা এত কথা বলছেন, বহু বছর আগে ইংরাজি না কিশোরীর বিরুদ্ধে কি তাঁরা অন্যায় করছেন না? আমি আবার ক্ষমা চাইছি। এবং সেই সঙ্গে আবারও বলছি, কারও ভাবাবেগে আঘাত করার ইচ্ছা নিয়ে এই লেখা পোস্ট করিনি।”

রেশমি ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আইনি পথে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করছেন বলেও ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Student Karnataka racism Oxford University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE