Advertisement
০৫ মে ২০২৪

শখের গুঁতোয় হুলস্থূল, প্লেন চুরি করে পালানোর চেষ্টা!

ব্যক্তিগত সংগ্রহে জেট প্লেন নেই। রয়েছে সাকুল্যে একটি গাড়ি। তাতে মন ভরছে না। তাই বিমানবন্দরে হানা দিয়ে প্লেন নিয়ে পালানোর চেষ্টা। কাজ প্রায় হাসিল হয়েই গিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে বাদ সাধল টেজার গান।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৩:১৫
Share: Save:

ব্যক্তিগত সংগ্রহে জেট প্লেন নেই। রয়েছে সাকুল্যে একটি গাড়ি। তাতে মন ভরছে না। তাই বিমানবন্দরে হানা দিয়ে প্লেন নিয়ে পালানোর চেষ্টা। কাজ প্রায় হাসিল হয়েই গিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে বাদ সাধল টেজার গান।

বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনায় হুলস্থূল টেক্সাসের ওয়্যাকো বিমানবন্দরে।

সবে সকাল হয়েছে।

মধ্য টেক্সাসের ওয়্যাকো আঞ্চলিক বিমানবন্দর অন্য যে কোনও দিনের মতোই নির্বিঘ্ন, নিরুপদ্রব। নেহাতই আঞ্চলিক বিমানবন্দর। খুব বেশি উড়ানের ওঠা নামা নেই। নিরাপত্তার হালচাল একটু ঢিলেঢালাই। রাত থেকে যাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের কাজ শেষ। সকালের নিরাপত্তা কর্মীরা একে একে আসছেন। তখনও কাজ শুরু করেননি। এভাবেই চলে রোজ। সমস্যা হয় না কখনওই।

বৃহস্পতিবার সকালে একেবারে বিনা মেঘে বজ্রপাত! আচমকা একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারল বিমানবন্দরের সিকিওরিটি গেটে। হালকা নিরাপত্তা বলয় ভেঙে গাড়িটি ছিটকে ঢুকল বিমানবন্দর পরিসরে। এক ব্যক্তি দরজা খুলে লাফিয়ে নামলেন। হাতে একটি লাঠি নিয়ে ছুটতে শুরু করলেন রানওয়ের দিকে।

ঘটনার আকস্মিকতায় শুরুতে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। আগন্তুক যখন ছুটছেন রানওয়ের দিকে, তখন সকলের সম্বিৎ ফিরল। কিন্তু, থামাবে কে? ছুটন্ত আগন্তুকের হাবভাব মোটেই স্বাভাবিক নয়। কেউই এগতে সাহস পাচ্ছেন না। রাতের ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় করছিলেন যে নিরাপত্তা আধিকারিক, তিনিই এগিয়ে গেলেন। ততক্ষণে রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি জেট প্লেনের দখল নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন অচেনা আগন্তুক। লিয়ারজেটের ল্যান্ডিং গিয়ারকে ঘিরে যে টায়ার চোক থাকে, তা খুলে ফেলেছেন। এবার প্লেনের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। নিরাপত্তা আধিকারিক বুঝতে পারেন, বিপদ ঘনাতে চলেছে। তিনি কোমরের খাপ থেকে টেজার গান বার করে ট্রিগারে চাপ দিলেন। টেজার গান থেকে গুলি ছোটে না। যাঁকে লক্ষ্য করে এর ট্রিগারে চাপ দেওয়া হয়, তাঁর ইলেকট্রিক শক লাগার মতো অনুভূতি হয়। টেজারের পর পর বেশ কয়েকটি ধাক্কায় আগন্তুক ছিটকে ছিটকে পড়ছিলেন বার বার। আবার উঠে প্লেনটির দিকে ছুটছিলেন। জেটটি নিয়ে তিনি পালাবেনই। প্লেন কেনার সামর্থ্য নেই। তাই ছিনতাই করেই ব্যক্তিগত বিমানের মালিক হবেন।

শেষমেষ বিমানবন্দরের কর্মীদের সিংহভাগ ছুটে যান রানওয়েতে। চারপাশ থেকে জাপটে ধরে কোনওক্রমে রানওয়ে থেকে ফেরত আনেন আগন্তুককে। আচরণে অস্বাভাবিকতা আঁচ করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মানসিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য। ওয়্যাকো পুলিশ জানিয়েছে, বিমানবন্দরের আগন্তুক মাদকের প্রভাবে ছিলেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অযাচিত অনুপ্রবেশ, চুরির চেষ্টা সহ একাধিক ফৌজদারি ধারায় মামলা রুজু হচ্ছে। খবর দেওয়া হয়েছে এফবিআইকেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE