সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলনে মোদী বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদই এশিয়ার এই অঞ্চলের পক্ষে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ভারত দীর্ঘদিনই এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়ছে। এখন আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা।’’ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দিল্লি সব সময়েই নীতির ভিত্তিতে তৈরি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার পক্ষে।
কূটনীতিকদের মতে, যে কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চেই সন্ত্রাস নিয়ে সরব হবেন মোদী। কারণ, পাকিস্তানি মদতপুষ্ট সন্ত্রাসকে বার বার বিশ্বের নজরে আনা দিল্লির নীতির অঙ্গ। পাশাপাশি মোদীর নিশানায় রয়েছে চিনও। কারণ জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা বার বার চিনের বাধায় স্থগিত হয়ে যাচ্ছে। এশিয়ায় চিনের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে উদ্বিগ্ন আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিও। চিনা আগ্রাসন রুখতে মার্কিন নেতৃত্বে জোটও তৈরি করেছে তারা। ফলে ‘নীতির’ ভিত্তিতে তৈরি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলেও চিনকে পরোক্ষে খোঁচা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ দিনই ফের ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্প প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ম্যানিলায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদী মনে করেন, বিশ্বের দুই শ্রেষ্ঠ গণতন্ত্রের হাতে শ্রেষ্ঠ দুই সামরিক বাহিনীও থাকা উচিত।
আমেরিকার কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা বাড়িয়েছে ভারত। তাতেও ট্রাম্প খুশি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। অক্টোবর মাসে ভারতে এসেছে মার্কিন অপরিশোধিত তেলের প্রথম দফার জোগান। আগামী এক বছরে আমেরিকা থেকে ২০ লক্ষ ডলার মূল্যের তেল কিনতে চায় ভারতীয় তেল সংস্থাগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy