উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীতে ‘আরও কাছের লোক’ নিয়ে এলেন কিম জং উন।
রাতারাতি রদবদল উত্তর কোরিয়ায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ‘ঐতিহাসিক’ বৈঠক ১২ জুন। সেই টেবিল থেকে কী উঠে আসে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন দু’পক্ষই। তবু এরই মধ্যে প্রতিরক্ষা প্রধান-সহ উত্তর কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় তিন সামরিক কর্তাকে ছেঁটে ফেললেন শাসক কিম জং উন। তিনটি আসনেই নিয়ে এলেন ‘আরও কাছের লোক’। এক উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্তা কালই এই তথ্য দিয়েছিলেন। আজ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এল আরও খুঁটিনাটি। তবে এখনও স্পষ্ট হল না কিমের মতিগতি।
অনেকে অবশ্য বলছেন, কিমের এই পদক্ষেপ সদর্থক। অস্ত্র ছেড়ে পিয়ংইয়্যাং সত্যিই আন্তর্জাতিক দুনিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নে জড়াতে চাইছে। ঠিক সেই কারণেই নিজের ঘনিষ্ঠদের বসিয়ে বাহিনীর (কোরিয়ান পিপলস আর্মি বা কেপিএ) উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছেন কিম। অনেকে আবার উল্টোটা ভাবছেন— বৈঠক কোনও কারণে ব্যর্থ হলে, এটা কিমের যুদ্ধের প্রস্তুতি নয় তো!
তবে উদ্দেশ্য যা-ই হোক, রদবদলটা চোখে পড়ার মতোই। যাঁদের সরানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সব চেয়ে কম বয়স পাক ইয়্যাং সিক-এর। ৬৮ বছর! নয়া প্রতিরক্ষা প্রধান হিসেবে আসছেন ওই মন্ত্রকেরই প্রথম ভাইস প্রেসি়ডেন্ট নো কোয়াং চল। চিফ অব জেনারেল স্টাফ ছিলেন ৮১ বছরের রি মিয়োং সু। সেই জায়গায় আসছেন তাঁরই প্রাক্তন সহকারী রি ইয়্যাং গিল। তৃতীয় রদবদলের কথা অবশ্য আগেই জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া।
কেপিএ-র সাধারণ রাজনৈতিক ব্যুরোর পরিচালক ৭৭ বছরের কিম জং গাককে সরিয়ে আনা হয়েছে আর্মি জেনারেল কিম সু গিলকে। সোলের দাবি, নতুনরা প্রত্যেকেই অপেক্ষাকৃত তরুণ। এবং বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিম সেটাকেই কাজে লাগাতে চান।
ট্রাম্প-কিমের বৈঠক প্রসঙ্গে রবিবার মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব জিম ম্যাটিস জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়া পাকাপাকি ভাবে পরমাণু অস্ত্র না-ছাড়লে তাদের কোনও রকম আর্থিক সাহায্য অনুমোদন করবে না আমেরিকা। অনেকেই বলছেন, এর প্রেক্ষিতেই আটঘাট বাঁধছেন কিম। সোজা পথে না হলে, ঘুরপথও নিতে পারে পিয়ংইয়্যাং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy