সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিল আমেরিকা।
আত্মরক্ষার্থে ভারত কোনও পদক্ষেপ করলে তারা সেটাকে পূর্ণ সমর্থন জানাবে। পুলওয়ামায় হামলার কড়া নিন্দা করে এ ভাবেই ভারতের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা।
মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ ও পুলওয়ামায় হামলা নিয়ে শুক্রবার ফোনে কথা হয় ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বোল্টন বলেন, “অজিত ডোভালের সঙ্গে আজ আমার কথা হয়েছে। তাঁকে বলেছি, আত্মরক্ষার্থে ভারত যা পদক্ষেপ করবে আমেরিকা তার পূর্ণ সমর্থন দেবে।” পাশাপাশি, পুলওয়ামায় হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশও করেন বোল্টন।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বোল্টন। মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, “সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। আর সেই সন্ত্রাসবাদীদের মদত জুগিয়ে যাচ্ছে তারা। পাকিস্তান যদি এখনই জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ না করে, তা হলে এর ফল ভুগতে হবে তাদের।”
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা সম্পর্কে এগুলি জানেন?
অন্য দিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্স এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, “সন্ত্রাসবাদের কারণে বিশ্বের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়া এখনই বন্ধ করুক পাকিস্তান।”
আরও পড়ুন: উরি-পঠানকোট-ডোকলাম-মায়ানমারের পরে পুলওয়ামা, ফের প্রশ্নের মুখে ডোভাল নীতি
আরও পড়ুন: ‘কানফাটা শব্দে দুলে উঠল বাস’
আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা নিয়ে উঠছে যে যে প্রশ্ন
এই প্রথম নয়, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এর আগেও পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল আমেরিকা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রায় একঘরে হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানের। জম্মু-কাশ্মীরে নানা সময়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চের রোষের মুখেও পড়তে হয় তাদের। ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর মনে করা হয়েছিল, হয়ত সন্ত্রাসবাদ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করবেন তিনি। কিন্তু ইমরান জমানার আগে পরিস্থিতি যা ছিল, ইমরান জমানায় সেই ছবি বিন্দুমাত্র বদলায়নি বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। ভারত-পাক সীমান্তে পাক সেনারা দিনের পর দিন সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে। ভারতীয় সেনার মুণ্ড কেটে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। আর এ ক্ষেত্রেও নাম উঠে এসেছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের।
(সারাবিশ্বের সেরা সব খবরবাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy