Advertisement
০৪ মে ২০২৪

মায়ানমারে চুক্তি স্বাক্ষর জয়শঙ্করের

বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর আজ মায়ানমারে গিয়ে রাখাইন প্রদেশের উন্নয়নের প্রশ্নে একটি চুক্তিপত্র সই করেছেন।

এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।

এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১১
Share: Save:

মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে সার্বিক সহায়তার কথা ঘোষণা করে উপমহাদেশে প্রভাব বাড়ানোর লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল চিন। এ বার সেই ক্ষত মেরামতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর আজ মায়ানমারে গিয়ে রাখাইন প্রদেশের উন্নয়নের প্রশ্নে একটি চুক্তিপত্র সই করেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মায়ানমারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে এই চুক্তিপত্রে রাখাইন প্রদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের বিষয়টিকে নিশানা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই প্রদেশে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা এবং এখান থেকে চলে যাওয়া মানুষদের ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে মায়ানমার সরকারকে সাহায্য করতে চায় ভারত। শরণার্থীরা ফিরে এলে তাদের জন্য বাসস্থান তৈরি করার প্রস্তাবও
ভারত মায়ানমারকে দিয়েছে।’

কূটনীতিকদের মতে, নিজেদের ভুলের খেসারত দিতে এখন মরিয়া বিদেশ মন্ত্রক। সেপ্টেম্বরে মায়ানমার সফরে গিয়ে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বরং সে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে মায়নমারকে খুশি করার চেষ্টা করেছিলেন। কারণ, ভারতের বরাবরের আশঙ্কা— মায়নমারকে তুষ্ট রাখতে না-পারলে দেশটি পুরোপুরি চিনের প্রভাবে চলে যাবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল এই রোহিঙ্গা চাল দিয়েই একই সঙ্গে মায়নমার এবং বাংলাদেশকে কাছে টেনে নিল চিন। চিনের প্রস্তাব ছিল— রাখাইন প্রদেশে অবিলম্বে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা, রোহিঙ্গাদের দেশ ছেড়ে যাওয়া বন্ধ করা এবং শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনা। পাশাপাশি রাখাইনের দারিদ্র দূরীকরণে আন্তর্জাতিক সহায়তা জোগাড়। এ ব্যাপারে সিংহ ভাগ দায়িত্ব নিতেও রাজি হয় চিন।

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে চিনের এই আধিপত্য খর্ব করতে জয়শঙ্করের এই আপৎকালীন মানায়নমার দৌত্য— এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE