Advertisement
০২ মে ২০২৪
International News

উত্তেজনার মাঝেই হঠাৎ কাতারকে ফাইটার জেট দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

১২০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। আরব দুনিয়ার বিভিন্ন দেশকে কাতারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলার পর, আমেরিকা কী ভাবে সে দেশের সঙ্গে এত বড় সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হল, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই।

আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্রে বড় সংখ্যায় এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে আমেরিকা। সেই গোত্রের যুদ্ধবিমানই কাতারকে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স।

আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্রে বড় সংখ্যায় এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে আমেরিকা। সেই গোত্রের যুদ্ধবিমানই কাতারকে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭ ১৪:৪৯
Share: Save:

সাতটি ইসলামি রাষ্ট্র যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কাতারের সঙ্গে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আমেরিকার চাপেই কাতারের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টেনে দিয়েছে আরব দুনিয়া। সেই মন্তব্যের পর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই কাতারের সঙ্গে বিপুল অঙ্কের সামরিক চুক্তি করল ট্রাম্পের দেশ। কাতারকে এফ-১৫ যুদ্ধবিমান দিচ্ছে আমেরিকা। ১২০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। আরব দুনিয়ার বিভিন্ন দেশকে কাতারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলার পর, আমেরিকা কী ভাবে সে দেশের সঙ্গে এত বড় সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হল, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস এবং কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খালিদ আল-আতিয়া একটি চুক্তিপত্রে সই করেছেন। ১২০০ কোটি ডলারের এই চুক্তিতে আমেরিকার কাছ থেকে কাতার ঠিক ক’টি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। পেন্টাগন সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে মার্কিন মিডিয়া ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, কাতারকে ৩৬টি যুদ্ধবিমান বিক্রি করা হচ্ছে। কাতারের সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই করার পর জিম ম্যাটিস বলেছেন, ‘‘১২০০ কোটি ডলারের এই চুক্তি কাতারকে অসামান্য সক্ষমতা দেবে, আমেরিকা এবং কাতারের মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতা এবং সমন্বয় বাড়াবে।’’

ট্রাম্প ও ম্যাটিস— কাতার নীতি নিয়ে কি মতভেদ রয়েছে দু’জনের মধ্যে? সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ট্রাম্প সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মার্কিন সরকারের অন্য কর্তাদের অনেকেই কাতারের সঙ্গে আলোচনা চালানোর উপর জোর দিয়েছিলেন। এ বার কাতারের সঙ্গে আমেরিকার সামরিক চুক্তিও কি ট্রাম্পের পিছু হঠার ইঙ্গিতই দিচ্ছে? প্রশ্ন রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ছবি: এপি।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের এই বিবৃতি বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে। কাতার সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে একাধিক বার অভিযোগ করেছে আমেরিকা। সৌদি আরব, আরব আমিরশাহি, ইয়েমেন, বাহরাইন, মিশর, লিবিয়া, মলদ্বীপ— এই সাত দেশ গত ৬ জুন কাতারের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং জানায়, সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে যে দেশ, সে দেশের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা হবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। আমেরিকার চাপেই ওই সাত দেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন। কিন্তু তার সপ্তাহখানেকের মাথাতেই কাতারের সঙ্গে আমেরিকা বিপুল অঙ্কের সামরিক চুক্তি করায়, মার্কিন অবস্থান নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে।

আরও পড়ুন: যে কোনও একটা নৌকায় পা দিন, শরিফকে সৌদি রাজা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE