সফল ভাবে পেরিয়ে গিয়েছিল প্রথম ধাপ। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপ শুরু হতেই বাধার মুখে পড়ল সেনা। বাদ সাধলো খারাপ আবহাওয়া।
২০১৪ সালে ইরাকের মসুল শহর দখল করে ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিরা। আইএস প্রধান আবু-বকর আল বাগদাদি আট ন’মাস সেখানেই গা ঢাকা দিয়ে আছে বলেও জানতে পেরেছে সেনা।
বহু বার জঙ্গিদখল থেকে ওই শহরকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছে ইরাক। দু’বছর ধরে লাগাতার সেই চেষ্টার পর গত মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে ইরাক সরকার জানায়, অভিযানের প্রথম ধাপ সফল করে মসুলে প্রবেশ করেছে সেনা। কিন্তু সীমানা পেরোতে পারলেও মসুলের মূল শহর থেকে এখনও অনেকটাই দূরে রয়েছে সেনারা। এ দিন জানানো হয়, মূল শহরের প্রবেশদ্বার গোগজালি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে সেনাবাহিনী। এ দিন গোগজালি থেকেই মূল শহরের দিকে এগোনোর কথা ছিল তাদের। কিন্তু আকাশ মেঘে ঢেকে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। আকাশ পরিষ্কার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় বাহিনীকে।
সূত্রের খবর, মসুলের এত কাছে পৌঁছে জঙ্গিদের অবস্থান না জেনে হানা দিতে পারবে না সেনা। তার জন্য ২৪ ঘণ্টা ড্রোন এবং বিমান দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। কিন্তু এ দিন আকাশে মেঘ থাকায় দৃশ্যমানতা কমে যায়। ড্রোন-বিমান চক্কর কেটেও জঙ্গিদের আস্তানার নির্দিষ্ট তথ্য জোগাড় করতে পারেনি। তবে এ দিন মসুল শান্তই ছিল বলে জানিয়েছে সেনা। সারা দিনে বিক্ষিপ্ত গুলি চলার আওয়াজ পাওয়া গেলেও তেমন কিছু ঘটেনি বলে সেনা সূত্রের খবর।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হায়দার ফাদহিল জানান, এখন ইরাকে আইএসের শক্ত ঘাঁটি এক মাত্র মসুল। এর মধ্যেই সেখানে আইএস প্রধানের গা ঢাকা দেওয়ার খবরে আরও সতর্ক সেনা। বাহিনীর এক কর্তা জানান, বাগদাদির কোনও ক্ষতি হলে তার প্রভাব সরাসরি পড়বে আইএস জঙ্গিগোঠীর উপরে। ফলে সেনার হামলা থেকে যে কোনও ভাবে বাগদাদিকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে আইএস কম্যান্ডাররা।