Advertisement
০২ মে ২০২৪
Russia Ukraine War

জয়ই লক্ষ্য জ়েলেনস্কির, পিছিয়ে নেই পুতিনও

ইউক্রেনের বাহিনীও পাল্টা জবাব দিয়েছে। ডনেৎস্কে মস্কোর নিযুক্ত প্রশাসন দাবি করেছে, নববর্ষের রাতেই রুশ অধিকৃত অঞ্চলে অন্তত ২৫টি রকেট ছুড়েছে ইউক্রেনের বাহিনী।

রুশ হানায় গুরুতর জখম এক ইউক্রেনবাসী।

রুশ হানায় গুরুতর জখম এক ইউক্রেনবাসী। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
কিভ শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪০
Share: Save:

আজও সাইরেনের আওয়াজে ঘুম ভেঙেছে কিভের। দিনভর আকাশপথে হামলা চালিয়েছে ‘শত্রুরা’। গত কাল ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বর্ষবরণ করেছে রাশিয়া। ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রে জ্বলেছে কিভ-সহ ইউক্রেনের একাধিক শহর। আজও সেই হামলা অব্যাহত।

এ দিন সকাল হতেই কিভের সেনা দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়, দ্রুত নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে বাসিন্দাদের। আকাশপথে হামলা শুরু হয় কিভে। মেয়র ভিটালি ক্লিৎস্কো জানিয়েছেন, কিভের উত্তরপূর্বে ডেসনিয়ানস্কি অঞ্চলে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। দ্রুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী রওনা হয় ওই অঞ্চলের উদ্দেশে। হতাহতের খবর স্পষ্ট নয়। কিভের সেনা প্রশাসক ওলেক্সেই কুলেবা বলেন, ‘‘কিভ বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে! আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কাজ করে চলেছে।’’ ২০টি রুশ রকেট নিশানায় এসে লাগার আগে আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ইউক্রেনের বাহিনীও পাল্টা জবাব দিয়েছে। ডনেৎস্কে মস্কোর নিযুক্ত প্রশাসন দাবি করেছে, নববর্ষের রাতেই রুশ অধিকৃত অঞ্চলে অন্তত ২৫টি রকেট ছুড়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ডনেৎস্কের রুশ-অধিকৃত শহর মাকিভকা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইউক্রেনের গোলায় বিপক্ষের বহু প্রাণহানি ঘটেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও স্বীকার করে নিয়েছে তাদের সেনাবাহিনীর বিপর্যয়ের খবর। জানানো হয়েছে, মাকিভকায় ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ৬৩ জন রুশ সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মস্কোর নির্দেশে এই অঞ্চলে সম্প্রতি নতুন সেনাদল পাঠানো হয়েছিল। কিছু রিপোর্টে মনে করা হচ্ছে, রুশ বাহিনীর উপর এটি সবচেয়ে বড় হামলা।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি গত কাল বলেছিলেন, ‘‘এই লড়াই আমরা চালিয়ে যাব— একটাই শব্দ, ‘জয়ের’ জন্য।’’ তিনি আজ ফের বলেন, ‘‘ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, যা কিছু ব্যবহার করতে পারে ওরা, কিন্তু আমাদের টলাতে পারবে না। কারণ আমরা এককাট্টা হয়ে দাঁড়িয়ে। ওরাও একজোট হয়ে, কিন্তু সে শুধুমাত্র ভয়ে।’’ তিনি দাবি করেছেন, ২০২৩ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের জয় আসবেই।

পিছিয়ে নেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। তিনিও ‘জয়ধ্বনি’ তুলেছেন। নববর্ষের অনুষ্ঠানে তিনি সেনা-অফিসারদের বিশেষ সম্মান দিয়েছেন। ইউক্রেনে নিযুক্ত রুশ কম্যান্ডার-সহ অন্য আধিকারিকদের পুরস্কৃত করেছেন। শ্যাম্পেন হাতে পার্টি করেছেন। গোটা দেশবাসীর উদ্দেশে আহ্বান দিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর পাশে দাঁড়াতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE