Advertisement
E-Paper

চড়া হাঁক ট্রাম্পের, মোদীর পাশে চিন

ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, চিন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সোলার সেল এবং ওয়াশিং মেশিন আমদানির উপরে চড়া হারে শুল্ক জারি করা হবে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:০৬
ফাইল চিত্র রয়টার্স।

ফাইল চিত্র রয়টার্স।

বিশ্বায়নে বন্ধু বদল। দাভোসে ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম’-এর মঞ্চে গত কাল মুক্ত বাণিজ্যের পথে দেওয়াল ওঠাকে সন্ত্রাসের চেয়েও বিপজ্জনক বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাভোসে যাওয়ার আগে সেই পথেই হাঁটল আমেরিকা। সোলার সেল ও ওয়াশিং মেশিন আমদানির উপরে চ়ড়া হারে শুল্ক বসিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। আরও এক কদম এগিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, যে সব দেশ আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য ক্ষেত্রে ‘অন্যায়’ করেছে তাদের সঙ্গে ফের দর কষাকষি করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মোদীর বক্তৃতাকে স্বাগত জানিয়েছে চিন। গত কাল দাভোসে মোদী স্পষ্ট করে দেন, ভারতে বিদেশি লগ্নি স্বাগত হলেও বিশ্বের নানা প্রান্তে মুক্ত বাণিজ্যের পথে বাধা তৈরি করা হচ্ছে। তার ফলে বিশ্বায়নের জৌলুস কমছে। বিশ্বায়নের সুফল সকলের কাছে না পৌঁছনোয় এই প্রক্রিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। মুক্ত বাণিজ্যের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ সন্ত্রাসের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক বলেও মন্তব্য করেন মোদী। নাম না করলেও তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকেই কটাক্ষ করেছেন বলে মনে করছেন অনেকে।

আজ ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, চিন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সোলার সেল এবং ওয়াশিং মেশিন আমদানির উপরে চড়া হারে শুল্ক জারি করা হবে। খোদ প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, ‘‘যে সব দেশ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমেরিকার সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করেনি তাদের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে ফের দর কষাকষি করা হচ্ছে। মার্কিন সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’

ট্রাম্পের দাবি, চড়া হারে আমদানি শুল্ক বসালে এলজি, স্যামসাংয়ের মতো সংস্থা আমেরিকাতেই ওয়াশিং মেশিনের মতো পণ্য তৈরি করবে। তাতে আমেরিকায় কর্মসংস্থান বাড়বে। এই সিদ্ধান্তে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়া। বেজিংয়ের দাবি, এতে বিশ্ব বাণিজ্যের আরও ক্ষতি হবে। দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, তারা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দ্বারস্থ হবে।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজ মুক্ত বাণিজ্য বিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে মোদীর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে বেজিং। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিশ্বায়নই বর্তমান সময়ের রীতি। বহু ক্ষেত্রে ভারত ও চিনের স্বার্থ অভিন্ন। বিশ্বায়ন প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করতে এবং এর সুফল সব দেশের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন। চিন ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সে কাজ করতে তৈরি।’’

মোদীর বক্তৃতায় কার্যত দাভোসে গত বছর চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের দেওয়া বক্তৃতার ‘প্রতিধ্বনি’ খুঁজে পেয়েছেন অনেকে। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘চিনা প্রেসিডেন্ট বিশ্বায়নকে আরও মুক্ত এবং সর্বজনীন করে তোলার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।’’ ভারতের অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলও।

Donald Trump China Narendra Modi নরেন্দ্র মোদী ডোনাল্ড ট্রাম্প
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy