Advertisement
E-Paper

বন্ধুত্বের খোঁজেই কি ট্রাম্প পোলান্ডে!

হোয়াইট হাউস যদিও বলছে, এমনটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। শুক্রবার থেকে জার্মানিতে জি-২০ শীর্ষ বৈঠক রয়েছে। সপ্তাহান্তে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর প্রথম বার মুখোমুখি বসার কথা। জি-২০ বৈঠক যেখানে হবে, জার্মানির সেই সভাগৃহের বাইরে লাখ খানেক ট্রাম্প-বিরোধী জমায়েতের আশঙ্কা করছে হামবুর্গ প্রশাসন। শীঘ্রই ব্রিটেন সফরে যাবেন ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭ ০২:২৬
সফর: পোলান্ডে পাড়ি দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। হোয়াইট হাউসের সাউথ লনে। বুধবার। রয়টার্স।

সফর: পোলান্ডে পাড়ি দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। হোয়াইট হাউসের সাউথ লনে। বুধবার। রয়টার্স।

তাঁর পুতিন-প্রীতি নিয়ে ইউরোপে চাপা একটা ক্ষোভ ছিলই। সম্প্রতি ব্রাসেলসে গিয়ে নিজেই চটিয়ে এসেছেন ন্যাটো সদস্যদের। তার পর রাতারাতি সরে এসেছেন প্যারিস চুক্তি থেকে। তিনি যে মুক্ত বাণিজ্যের বিরোধী, সে কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন একাধিক বার।

ইউরোপে এই মুহূর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বন্ধু’ প্রায় নেই বললেই চলে। আজ তাই তিনি পোলান্ডে পা রাখতেই প্রশ্ন উঠে গেল— রাশিয়া, ফ্রান্স কিংবা জার্মানির আগে ট্রাম্প হঠাৎ এখানে কেন? জবাবে মার্কিন কূটনীতিকদেরই একাংশ বলছেন, পোলান্ডকে পাশে টেনে নিজের ‘বন্ধুভাগ্য’টাই যাচাই করে নিতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট।

হোয়াইট হাউস যদিও বলছে, এমনটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। শুক্রবার থেকে জার্মানিতে জি-২০ শীর্ষ বৈঠক রয়েছে। সপ্তাহান্তে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর প্রথম বার মুখোমুখি বসার কথা। জি-২০ বৈঠক যেখানে হবে, জার্মানির সেই সভাগৃহের বাইরে লাখ খানেক ট্রাম্প-বিরোধী জমায়েতের আশঙ্কা করছে হামবুর্গ প্রশাসন। শীঘ্রই ব্রিটেন সফরে যাবেন ট্রাম্প। সেখানেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা। মাসখানেক আগে ট্রাম্পের এই সফরসূচি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস। সূত্রের খবর, তখন থেকেই সাজো সাজো রব পোলান্ডের ক্ষমতাসীন ডানপন্থী ল’ অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি-র অন্দরে। সেজে উঠেছে ক্রাসিনসকি স্কোয়ার-ও। ১৯৪৪ সালে নাৎসি দখলদারদের বিরুদ্ধে ওয়ারশ বিদ্রোহে প্রায় ২ লক্ষ পোলিশ নাগরিককে জীবন দিতে হয়েছিল। তাঁদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধের সামনে আজই বক্তব্য রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

অন্তত দু’টি ক্ষেত্রে পোলান্ডকে এক নৌকার যাত্রী ভাবছে হোয়াইট হাউস। প্রথমত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চাপ থাকা সত্ত্বেও অভিবাসন ঠেকাতে মরিয়া সে দেশের রক্ষণশীল সরকার। দ্বিতীয়ত, প্রতিরক্ষা খাতে সম্প্রতি নিজেদের জি়ডিপি-র ২ শতাংশ ব্যয় করতে রাজি হয়েছে পোলান্ড। মে-র শেষে ন্যাটোর বৈঠকে গিয়ে ট্রাম্প তো এই বরাদ্দ বৃদ্ধির কথাই বলেছিলেন!

Donald Trump Poland ডোনাল্ড ট্রাম্প পোলান্ড
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy