জ্যারেড কুশনার।
দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য জানার ক্ষেত্রে অবাধ ক্ষমতা আর রইল না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাই এবং শীর্ষ উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারের। গত শুক্রবারের এই সিদ্ধান্ত আজ প্রকাশ্যে এসেছে।
এর ফলে কুশনারের অবস্থান ‘টপ সিক্রেট’ থেকে নেমে ‘সিক্রেট’ স্তরে রাখা হয়েছে বলে দাবি। দেশের গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার প্রশ্নে ট্রাম্প প্রশাসন এমনিতেই যখন অস্বস্তির মুখে, তখনই কুশনারকে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিলেন হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলি।
হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন কর্মী রব পর্টারের বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসার অভিযোগ ওঠার পরে মূল্যায়ন শুরু হয় সব স্তরে। সব কর্মীকে গত শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই যে সব কর্মী অন্তর্বর্তিকালীন ছাড়ে (ইন্টরিম ক্লিয়ারেন্স) কাজ করেন, তাঁদেরও মূল্যায়ন হয়। কুশনারকে নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। অনেকে ভেবেছিলেন তাঁর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটবে। কারণ তিনি ট্রাম্পের জামাই। হোয়াইট হাউসের অন্দরে এক অফিসারের দাবি, অন্তর্বর্তিকালীন ছাড়ে যে কর্মীরা কাজ করেন, প্রেসিডেন্টের কাছে আসা দৈনিক গোয়েন্দা ব্রিফিং তাঁদের দেখার কথা নয়। কুশনারের ক্ষেত্রে সে নিয়ম খাটত না। তাঁর অতীত রেকর্ড খতিয়ে দেখার কাজেও যথেষ্ট দেরি হয়েছিল। তবে গোপন তথ্য জানার ক্ষেত্রে কুশনারের ক্ষমতা খর্ব হলেও প্রেসিডেন্টের হাতে সেই বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে যার আওতায় তিনি যাঁকে চান, তাঁকে গোপন তথ্য দেখাতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy