ট্র্যাভিস কালানিক। ছবি: সংগৃহীত।
সংস্থার হাল দেখে প্রকাশ্যেই কেঁদে ফেললেন উবের-কর্তা।
জন্মের পর গত আট বছরে নানা ওঠাপড়ার সাক্ষী থেকেছে মার্কিন ক্যাব সংস্থা উবের। একের পর এক বিতর্কে এই সংস্থার নাম জড়িয়েছে। তবে, চলতি বছরেই বোধহয় সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা তার।
গত সপ্তাহে উবেরের এক প্রাক্তন কর্মী সুজান ফাওলার অভিযোগ করেন, এই সংস্থায় কর্মরত অবস্থায় নিয়মিত ভাবে বৈষম্য ও যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
আইএস-এর ড্রোনের ‘যম’ রয়্যাল ইগল! অবিশ্বাস্য কৌশল ফরাসি বাহিনীর
মঙ্গলবার সংস্থার সদর দফতর সান ফ্রান্সিসকোতে কর্মচারীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন উবেরের সিইও তথা সহ-প্রতিষ্ঠাতা ট্র্যাভিস কালানিক। সুজানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থার অন্দরমহলের এহেন ‘অবনতি’তে কার্যত ভেঙে পড়েন কালানিক। কর্মচারীদের কাছে প্রকাশ্যেই ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। কর্মচারীদের অভিযোগ যথাযথ ভাবে না মেটানোর জন্য নিজেকেই যেন কাঠগড়ায় দাঁড় করান সিইও।
একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছে উবের। ছবি্: সংগৃহীত।
সংস্থার প্রাক্তন সফ্টওয়্যার ডেভেলপার সুজান তাঁর ব্লগে অভিযোগ করেন যে, উবেরে থাকাকালীন তাঁকে যৌন হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে। সংস্থার এইচআর বিভাগে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। বরং অভিযুক্তকে আড়াল করারই চেষ্টা করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
বৈঠকে উপস্থিত উবেরের বোর্ড সদস্য আরিয়ানা হাফিংটন সংস্থার একটি ব্লগে জানিয়েছেন, কর্মচারীদের সামনেই নিজের ভুলগুলি স্বীকার করেন কালানিক। সংস্থার কর্মীদের মধ্যেও যে যথেষ্ট বৈচিত্র নেই তা-ও স্বীকার করে নেন তিনি। প্রাক্তন কর্মীর যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে উবের কর্তৃপক্ষ। হাফিংটন জানান, আগামী দিনে কী ভাবে সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তা নিয়েও খোলামেলা আলোচনা করেছেন কালানিক। হাফিংটনের কথায়, “কোনও অনুঘটক ছাড়া সাধারণত পরিবর্তন হয় না। আশা করব, কোথায় খামতি রয়েছে তা খুঁজে সেগুলি শুধরে নিয়ে সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। তাতে সংস্থার পাশাপাশি এই শিল্পক্ষেত্রের সমস্ত মহিলাকর্মীদের উন্নতির কাজে আসবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy