Advertisement
০২ মে ২০২৪
International News

ট্রাম্পের ‘মুসলিম’ নিষেধাজ্ঞায় কোর্টের স্থগিতাদেশ, নির্দেশ আপাতত প্রত্যাহার

এ বার বড় ধাক্কা খেলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় ঢোকা বন্ধ করতে তাঁর জারি করা নিষেধাজ্ঞাটিকে স্থগিত করে দিলেন ওয়াশিংটন প্রদেশের ফেডারেল বিচারক জেমস রবার্ট।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২০:০১
Share: Save:

এ বার বড় ধাক্কা খেলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় ঢোকা বন্ধ করতে তাঁর জারি করা নিষেধাজ্ঞাটিকে স্থগিত করে দিলেন ওয়াশিংটন প্রদেশের ফেডারেল বিচারক জেমস রবার্ট। এর আগেও একটি স্থানীয় আদালত ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার বেশ কিছু অংশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। কিন্তু এ বারের ধাক্কা অনেকটা বড়। এই স্থগিতাদেশ সারা দেশ জুড়েই কার্যকর হবে। এর পরেই মার্কিন বিদেশ দফতর সাতটি দেশের প্রায় যে ৬০ হাজার ভিসা বাতিল করেছিল, তা-ও প্রত্যাহার করে নিল।

আরও খবর: ইরানকে নিষেধাজ্ঞা-কোপ ট্রাম্পের

বিচারকের ওই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরেই হোয়াইট হাউস এর তীব্র নিন্দা করেছে। প্রথমে এই আদেশটিকে ‘ভয়ানক’ বলে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে হোয়াইট হাউস। পরে বিজ্ঞপ্তিটি থেকে ‘ভয়ানক’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। মার্কিন বিচার বিভাগের তরফ থেকে জানান হয়েছে, এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে জন্য দ্রুত আবেদন করা হবে। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লড়াই চলবে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সন স্পাইসার বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট দেশকে নিরাপদ রাখতে এই এগজিকিউটিভ অর্ডার জারি করেছিলেন। আমেরিকার নাগরিকরদের রক্ষা করতে এই আদেশ জারি করার সাংবিধানিক অধিকার প্রেসিডেন্টের আছে।’’ ট্রাম্প নিজে এই স্থগিতাদেশকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, “এই তথাকথিত জজের মতামত খুবই হাস্যকর এবং এটা উল্টে দেওয়া যাবে।”
সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সুদান, ইয়েমেন ও সোমালিয়ার নাগরিকদের আমেরিকায় আসা বন্ধ করতে এগজিকিউটিভ অর্ডার জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিরিয়ার ক্ষেত্রে নাগরিকদের অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমেরিকায় ঢোকা বন্ধ করা হয়েছিল। বাকি দেশগুলির ক্ষেত্রে ৯০ দিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এবং আরও কিছু দেশের নাম এই তালিকায় জুড়বে বলে মাঝেমধ্যেই ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছিল। পাশাপাশি শরণার্থী সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিকে ১২০ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ঘোষণা জারি হওয়ার পরে আমেরিকা ও বাকি বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। মার্ক জুকেরবার্গ, সুন্দর পিচাই-সহ প্রযুক্তি, বিনোদন, শিক্ষা ও রাজনীতি জগতের নামী ব্যক্তিত্বরা এর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। এমনতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আমেরিকা জুড়ে বিক্ষোভ চলছে। তাতে ঘৃতাহুতি দেয় এই নিষেধাজ্ঞা। আমেরিকা যে মূলত অভিবাসীদের দেশ তা বার বার মনে করিয়ে দেওয়া হয়। ডেমোক্র্যাট দলের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করা হয়। এর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন সদ্য প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও।
এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতেও বেশ কিছু আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে একটি আবেদন করে ওয়াশিংটন প্রদেশ। পরে সেই আবেদন যোগ দেয় মিনেসোটা প্রদেশ। আজ এই আবেদনের প্রেক্ষিতে দেশ জুড়ে এই এগজিকিউটিভ অর্ডারের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারক জেমস রবার্ট। এই স্থগিতাদেশ আসার পরে ‘আমেরিকার কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেশকন’ দফতর বিভিন্ন বিমান সংস্থাকে নির্দেশ পাঠাতে শুরু করেছে। ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞার দৌলতে প্রায় দশ লক্ষ ভিসার আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছিল। সেগুলোর ভবিষ্যত্ এখনই বোঝা যাবে না। কিন্তু যে সব শরণার্থী মার্কিন ভিসা পেয়ে গিয়েছেন তাঁদের এখন দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump USA US Judge
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE