আমেরকার এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। ছবি: এএফপি।
আর শুধু আর্থিক নিষেধাজ্ঞা নয়। তেহরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন সামরিক আগ্রাসনের প্রস্তুতি শুরু করল কি না, সে প্রশ্ন উঠে গেল এ বার। ইরানের উপকূলের অদূরে তেলের ট্যাঙ্কারের উপর হামলা ঠেকাতে পশ্চিম এশিয়ার হরমুজ প্রণালীর আশপাশের এলাকাগুলিতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। তার তা ঘিরেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
গত সপ্তাহে ইরানের নৌবাহিনী হরমুজ প্রণালীতে দু’টি তেলবাহী জাহাজের উপর হামলা করে বলে পেন্টাগনের অভিযোগ। তার মধ্যে একটি জাহাজকে নিশানা করে গুলিও চালানো হয়েছিল বলে কয়েকটি পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি। তারই জেরে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়ে পেন্টাগনের তরফে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় এ-১০ নজরদারি বিমান পাঠানো হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই উপসাগরীয় এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তেলবাহী জাহাজ। অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হামলা হচ্ছে ইরানের জলসীমার উপকূলে। ঘটনাচক্রে, সৌদি আরব-সহ পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার মিত্র দেশগুলির তেলবাহী জাহাজেই হচ্ছে এমন আক্রমণ। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এর জেরে গোটা উপসাগরীয় এলাকায় উত্তেজনার পারদ চড়ছে। বাড়ছে তেলের দামও।
এই পরিস্থিতিতে ইরানের জলসীমা লাগোয়া অঞ্চলে জো বাইডেন সরকারের এফ-১৬ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নতুন করে পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন। কারণ, ইরানের পড়শি গৃহযুদ্ধ দীর্ণ সিরিয়ার ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধীদের মদত দিতে সেনা মোতায়েন করেছে আমেরিকা। অন্য দিকে, আসাদ সরকারের সমর্থনে বাহিনী পাঠিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy