Advertisement
E-Paper

উদ্ধার হল ব্ল্যাক বক্সের দ্বিতীয় অংশও

উদ্ধার হল এয়ার এশিয়ার বিমান কিউজেড ৮৫০১-এর ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। সোমবার বিমানটির ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারের খোঁজ মেলার পর থেকেই উদ্ধারকারীরা ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের খোঁজে তল্লাশি জোরদার করেন। এ দিন তার সন্ধান মেলায় উদ্ধারকারীদের দাবি, এ বার কিউজেড ৮৫০১ রহস্য সমাধান করা সহজ হবে। কারণ বিমানের প্রতি মুহূর্তের গতিবিধির পাশাপাশি শেষ দু’ঘণ্টায় পাইলট ও এটিসি-র মধ্যে কী কথা হয়েছিল, তার-ও হদিস মিলবে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৪১
বের করা হচ্ছে ভয়েস রেকর্ডার। ছবি: এএফপি।

বের করা হচ্ছে ভয়েস রেকর্ডার। ছবি: এএফপি।

উদ্ধার হল এয়ার এশিয়ার বিমান কিউজেড ৮৫০১-এর ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। সোমবার বিমানটির ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারের খোঁজ মেলার পর থেকেই উদ্ধারকারীরা ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের খোঁজে তল্লাশি জোরদার করেন। এ দিন তার সন্ধান মেলায় উদ্ধারকারীদের দাবি, এ বার কিউজেড ৮৫০১ রহস্য সমাধান করা সহজ হবে। কারণ বিমানের প্রতি মুহূর্তের গতিবিধির পাশাপাশি শেষ দু’ঘণ্টায় পাইলট ও এটিসি-র মধ্যে কী কথা হয়েছিল, তার-ও হদিস মিলবে। তবে এখনই উদ্ধারকাজ থামাচ্ছেন না তাঁরা। বরং বিমানের মূল ধ্বংসাবশেষের খোঁজে আরও বেশি করে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কারণ, উদ্ধারকারী দলের অনুমান, সেই অংশেই আটকে রয়েছে বেশিরভাগ যাত্রীর দেহ।

২৮ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে হারিয়ে যায় কিউজেড ৮৫০১। পরে জানা যায়, জাভা সাগরের গভীরে পড়ে রয়েছে তার ধ্বংসাবশেষ। উদ্ধার হয় ৪৮ জন যাত্রীর দেহ। কিন্তু বেশিরভাগ যাত্রীর খোঁজ মেলেনি এখনও। ঠিক কেন বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, জানা নেই তা-ও। কিন্তু ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের (দুইয়ে মিলেই ব্ল্যাক বক্স) সন্ধান মেলার পর এখন বিশেষজ্ঞদের আশা, কিউজেড ৮৫০১ রহস্যের সমাধান হবে। তবে এ জন্যও অন্তত মাসখানেক অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণ করে উঠতে অন্তত এক মাস সময় লাগার কথা বিশেষজ্ঞদের।

গত কাল জাভা সাগরের যে এলাকা থেকে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছিল, তার খুব কাছ থেকেই এ দিন ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার হয়। ৩০ মিটার গভীর এলাকা থেকে বিমানের ভেঙে পড়া এক ডানার ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে সেটিকে বের করেন উদ্ধারকারীরা। তাঁদের অনুমান, এ দিন বিমানের একটি ইঞ্জিনের খোঁজও পেয়েছেন তাঁরা। যদি সত্যি ইঞ্জিনে কোনও সমস্যা হয়ে থাকে, তা হলে এ বার তা-ও ধরা পড়বে। পাশাপাশি, বিমানের মূল ধ্বংসাবশেষ কোথায় পড়েছে, সেটি-ও মোটামুটি চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে ইন্দোনেশিয়া প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে আপাতত ব্ল্যাক বক্স থেকে মেলা তথ্যের বিশ্লেষণের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই বিশেষজ্ঞদেরই এক জন নুরক্যাহয়ো উতোমো। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষকের কাজ করছেন তিনি। তবে এ বারের মতো পরিস্থিতিতে আগে কখনও পড়েননি নুরক্যাহয়ো। কারণ, যে উড়ানের ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণ করবেন তিনি, তার পাইলট ইরিয়ান্তোর কাছেই বিমানচালনার প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন নুরক্যাহয়ো। তাঁর বয়ানে, “কল্পনাও করতে পারছি না যে ওঁর (ইরিয়ান্তোর) শেষ কথাগুলো আমাকেই শুনতে হবে।” তবে শুধু ইরিয়ান্তোর জন্য নয়, বিমানে সফরকারীদের প্রত্যেকের শেষ মুহূর্তের কথাগুলো শুনতে হবে ভেবে মন খারাপ নুরক্যাহয়োর। বললেন, “ভেঙে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তের কথাগুলোও আমাদের শুনতে হয়। এ পরিস্থিতিতে বহু সময় পোড়খাওয়া বিশ্লেষকরাও বিহ্বল হয়ে পড়েন।”

plane accident air asia qz 8501
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy