Advertisement
০১ মে ২০২৪
River Erosion

ডুবেছে ঘর, ভাঙনের আশঙ্কায় এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, হরিশ্চন্দ্রপুরের গোবরাঘাটে সংরক্ষিত এলাকায় ফুলহার বাঁধের তিনটি স্পারে ভাঙন শুরু হয়েছে।

ফুলহারের জল ঢুকেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের রশিদপুরে, গ্রাম ছাড়ছেন বাসিন্দারা. মালদহে। নিজস্ব চিত্র।

ফুলহারের জল ঢুকেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের রশিদপুরে, গ্রাম ছাড়ছেন বাসিন্দারা. মালদহে। নিজস্ব চিত্র।

বাপি মজুমদার 
হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩ ০৯:৫৭
Share: Save:

বৃষ্টির জেরে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ায় ফুলহার নদীর জল বাড়তে শুরু করেছে। নদীর জল বিপদসীমা না ছাড়ালেও, রবিবার সকাল থেকেই নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় দু’টি এলাকাতেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। নদীর জল উপচে অসংরক্ষিত বেশ কিছু এলাকার পথঘাট ও খেতের ফসল ডুবে গিয়েছে।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, হরিশ্চন্দ্রপুরের গোবরাঘাটে সংরক্ষিত এলাকায় ফুলহার বাঁধের তিনটি স্পারে ভাঙন শুরু হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে স্পার সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে সেচ দফদতর। হরিশ্চন্দ্রপুরের রশিদপুরে সকাল থেকে ৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে, দাবি বাসিন্দাদের। নদীর পাশে কিছু ঘরদোরেও জল ঢুকেছে। নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় যে ভাবে ভাঙন চলছে, তাতে এলাকাটি নদীতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ঘর ছাড়তে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।

জেলা সেচ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত, দু’দিকেই ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। আপাতত সংরক্ষিত এলাকায় ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলছে। অসংরক্ষিত এলাকায় বিদ্যুতের টাওয়ার যাতে না তলিয়ে যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ মহকুমাশাসক (চাঁচল) কল্লোল রায় বলেন, ‘‘পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।’’

সেচ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে নদীর জলস্তর ছিল ২৬.৫১ মিটার। যে গতিতে জল বাড়ছে, তাতে দ্রুত নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রবল স্রোতে নদীতে জল ঢুকতে থাকায় হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের রশিদপুর, উত্তর ভাকুরিয়া, দক্ষিণ ভাকুরিয়া, কাওয়াডোল ও রতুয়া ১ ব্লকের বঙ্কুটোলায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।

রশিদপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আকাশ বলেন, ‘‘আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বাইরে রয়েছি। প্রশাসনের তরফে এখনও কেউ খোঁজ নেননি।’’ ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী তৃণমূল সদস্য মঞ্জু সাহা এ বার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয়েছেন। তিনি বললেন, ‘‘রশিদপুর এলাকাটি যে কোনও সময় ফুলহারে তলিয়ে যেতে পারে। এলাকায় তিনটি ফ্লাড সেন্টার রয়েছে। ১১০টি পরিবারকে বাড়ি ছেডে় নিরাপদে চলে যেতে বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

River Erosion harishchandrapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE